উত্তর দিনাজপুর জেলায় নির্বিঘ্নে পঞ্চায়েত ভোট শেষ করতে পর্যাপ্ত পরিমাণে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি তুললেন রায়গঞ্জের কংগ্রেস সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দীপা দাশমুন্সি। শুক্রবার বিকালে রায়গঞ্জের শিলিগুড়িমোড় এলাকায় দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন তিনি। দীপাদেবী বলেন, “রাজ্য সরকারের পুলিশ দিয়ে অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ করা সম্ভব নয়। জেলার ১৭৬৯টি বুথের মধ্যে ৯৫৬টি বুথ অতি স্পর্শকাতর। দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়ে লিখিতভাবে ওই দাবি জানিয়েছি।” তিনি জানান, জেলায় ২৮০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পাশাপাশি বিহার সীমান্তও রয়েছে। পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন না করে জেলায় নির্বাচন হলে গোলমালের আশঙ্কা রয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে আদালতের রায়ের প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেন দীপাদেবী। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার বার বার আদালতে ধাক্কা খাচ্ছে। পুলিশ ও প্রশাসনের উপর বাসিন্দাদের ভরসা নেই। শুধু উত্তর দিনাজপুর জেলা নয় রাজ্যজুড়ে কংগ্রেসের প্রার্থীরা বিরোধীদের হাতে আক্রান্ত ও নানাভাবে হুমকির শিকার হচ্ছেন। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে সমস্ত দলের প্রার্থীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আর্জি জানিয়েছি।” জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারের কৌশল ঠিক করতে এদিন দীপাদেবী জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত-সহ জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। দলীয় সূত্রের খবর, নির্বাচনের প্রায় ১০ দিন আগে থেকে জেলার ৯টি ব্লকে দীপাদেবীকে দিয়ে জনসভা ও পথসভা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা কংগ্রেস।
|
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দীপার |
কালিয়াগঞ্জের মারোয়াড়িপট্টি এলাকায় বেআইনি শব্দবাজির গুদামে বিস্ফোরণের ঘটনায় সব অভিযুক্ত গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুললেন রায়গঞ্জের কংগ্রেস সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দীপা দাশমুন্সি। শুক্রবার সন্ধ্যায় রায়গঞ্জের সুদর্শনপুর এলাকার বাসিন্দা, বিস্ফোরণে মৃত ভুট্টাবোঝাই ট্রাকের খালাসি টঙ্কো দাসের বাড়িতে যান দীপাদেবী। তিনি ওই পরিবারটিকে দলের তরফে আর্থিক সাহায্য করেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর মৃতের ভাইয়ে পুরসভায় কাজ দেওয়ার আশ্বাস জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহত সেনগুপ্ত। দীপাদেবী বলেন, “ঘটনার পর একসপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও অভিযুক্ত গুদাম মালিক ও এক শব্দবাজির ব্যবসায়ী গ্রেফতার হয়নি। এতে পুলিশের গাফিলতি ও নিষ্ক্রিয়তা স্পষ্ট হয়েছে।” গত ২৭ জুন ওই গুদামে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ও অগ্নিকান্ডের জেরে মারা যান টঙ্কোবাবু, স্থানীয় বাবলু সরকার নামে এক ভুট্টা ব্যবসায়ী ও স্থানীয় সিধো বর্মন নামে এক শ্রমিক। জখম হন ১০ জন। তিনজনের নামে অভিযোগ দায়ের হলেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করেছে।
|