এক কাপড়ের ব্যবসায়ীকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে মারধর করে ৩৯ হাজার টাকা লুঠের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় রায়গঞ্জ থানার ভাটোল হাট এলাকায়। দুষ্কৃতীদের মারে গুরুতর জখম পদ্ম ভট্টাচার্য নামে ওই ব্যবসায়ীকে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ভাটোল হাট এলাকায় বাড়ির পাশেই তাঁর কাপড়ের দোকান রয়েছে। তাঁর হাতে ও পিঠে চোট লেগেছে। ব্যবসায়ীদের সংগঠন রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় রাতেই পদ্মবাবু রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শুক্রবার অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা রায়গঞ্জ থানার আইসির কাছে অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করার দাবি জানান। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছি।” রায়গঞ্জ থানার আইসি দীনেশ প্রামাণিক জানান, ওই ঘটনায় স্থানীয় তিনজন দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন।
পুলিশের সন্দেহ, ওই তিন দুষ্কৃতী জমি ও দোকান কেনাবেচার দালালি করে। তিনজনই পদ্মবাবুর পরিচিত বলে পুলিশের দাবি। কিছুদিন আগে পদ্মবাবু ভাটোলহাট এলাকায় দেড় লক্ষ টাকা দামে একটি দোকান কিনেছেন। সেই দোকান কেনা বাবদ দালালির টাকা না পেয়ে দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়ে থাকতে পারে বলে পুলিশ সন্দেহ করছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এদিন রাত ৯টা নাগাদ পদ্মবাবু ও তাঁর দাদা পলাশবাবু দোকানে বসেছিলেন। সেই সময় সুজিত ভট্টাচার্য নামে দোকানের এক কর্মী দোকানের মালপত্র গোছানোর কাজে ব্যস্ত ছিলেন। পদ্মবাবুর অভিযোগ, তিনজন দুষ্কৃতী ঢুকে প্রথমে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে পদ্মবাবুর কাছে টাকা দাবি করে। তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করায় দুষ্কৃতীরা পদ্মবাবু, পলাশবাবু ও সুজিতবাবুকে খুনের হুমকি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। দুষ্কৃতীরা পদ্মবাবুর প্যান্টের পকেট থেকে ১৪ হাজার টাকা ও একটি প্যান কার্ড এবং ক্যাশ বাক্স থেকে ২৫ হাজার টাকা নেয়।
পদ্মবাবু চিৎকার করলে দুষ্কৃতীরা দোকানের মালপত্র লন্ডভন্ড করার পরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এদিন হাসপাতালে পদ্মবাবু বলেন, “পুলিশ যা সন্দেহ করছে, যে সব দাবি করছে তা নিয়ে কিছু বলতে চাই না। নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি।” রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অতনুবন্ধু লাহিড়ী বলেন, “পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার জেরে দুষ্কৃতীরা সাহস পেয়েছে। অবিলম্বে গ্রেফতার করা না হলে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা বনধ ডেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য থানা ঘেরাও করতে বাধ্য হবেন। আইসি দীনেশবাবু বলেন, “ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। ফাঁড়ির পুলিশ কর্মীরা প্রথমে তল্লাশি শুরু করেন। পরে থানা থেকে পুলিশকর্মীরা যান।” |