অল্পের জন্য রক্ষা বাগডোগরায়
রানওয়ে থেকে পিছলে কাদায় আটকে গেল চাকা
ল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান। বেলা ১টা ১০ মিনিটে দিল্লি থেকে এসে বাগডোগরায় নামে এআই ৮৭৯ বিমানটি। তারপরে যাত্রীদের নামানোর জন্য তা ঘুরিয়ে নিয়ে আসার সময়ে এয়ারবাস ৩২১ বিমানটির ডান দিকের ডানার নীচের চাকাটি রানওয়ে থেকে পিছলে তার পাশেই কাদায় গেঁথে যায়। বিমানটি তত্‌ক্ষণাত্‌ দাঁড়িয়ে পড়ে। সেই অবস্থাতেই নামিয়ে আনা হয় ১১০ জন যাত্রীকে। তাঁদের কেউ আহত হননি। বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, গতি খুব কম ছিল বলেই এ ক্ষেত্রে কোনও বিপদ হয়নি। তবে ওই বিমানটিরই দুপুর ২টো ৫ মিনিটে ফের দিল্লি উড়ে যাওয়ার কথা ছিল। তা হয়নি। ১৬৩ জন যাত্রী আটকে পড়েছেন বাগডোগরাতে। আজ, শনিবার দুপুরে তাঁদের দিল্লি নিয়ে যাওয়ার কথা। এরই মধ্যে বিকেলে কলকাতা থেকে কিছু ইঞ্জিনিয়ারকে বাগডোগরায় নিয়ে যাওয়া হয়। সে জন্য কলকাতা-আগরতলা উড়ানটিকে বাগডোগরাতেও নিয়ে যাওয়া হয়।
কী করে এই দুর্ঘটনা হল?
কাদায় চাকা আটকে যায় এয়ার ইন্ডিয়ার এই বিমানটিরই। শুক্রবার বাগডোগরায় বিশ্বরূপ বসাকের ছবি।
বিমানবন্দর সূত্র জানাচ্ছে, এ দিন বাগডোগরায় ভালই বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টিতে রানওয়ের পিচও কাদা কাদা হয়ে যায়। তাতেই বিমানের চাকা পিছলে যায়। তবে বাগডোগরা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কল্যাণকিশোর ভৌমিক বলেন, “ঠিক কী কারণে বিমানটির চাকা পিছলে রানওয়ের নির্ধারিত এলাকায় বাইরে চলে যায়, তা দেখা হচ্ছে। তবে অন্য বিমান চলাচলে এর ফলে কোনও বিপত্তি ঘটেনি। কেউ আহত হননি।” এয়ার ইন্ডিয়ার বাগডোগরার স্টেশন ম্যানেজার ভাস্কর রায় বলেন, “দিল্লিগামী বিমানটির যাত্রীদের হোটেলে রাখা হয়েছে। শনিবার তাঁদের গন্তব্যে পাঠানোর ব্যবস্থা
করা হয়েছে। বর্ষার জন্য মাটি নরম থাকায় চাকাটি তুলতে সমস্যা হচ্ছে। তবে বায়ুসেনা আমাদের খুবই সাহায্য করছে।”
অবশ্য বিমানবন্দর সূত্রে এ কথাও জানা গিয়েছে যে, ওই চাকাটি আচমকা অচল হয়ে গিয়েছিল। তাতে বিমানটি আরও বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচেছে। কেননা, বর্ষায় ভিজে মাটিতে চাকাটি বসে যায়। কিন্তু শুকনো মাটি থাকলে ঘর্ষণে আগুন ধরে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। বায়ুসেনা কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরটি থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিমান ওঠানামের সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে। সেক্ষেত্রে দিনের বেলায় এমন দুর্ঘটনার ফলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কিছুটা হলেও বিব্রত।
২০০৯ সালের জুনে দিল্লিগামী একটি বেসরকারি সংস্থার বিমানের ডান দিকের ডানাটি ‘টেক অফের’ সময় রানওয়ের পাশে থাকা বায়ুসেনা ‘বাঙ্কারে’ ধাক্কা দিয়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রীরা হতাহত না হলেও বিমানটিকে ঠিকঠাক করে সচল করতে বেশ কিছু দিন লাগে। এদিনের ঘটনার পর বিমান বন্দরের কয়েক জন অফিসার জানান, দুই ক্ষেত্রেই সম্ভবত চালকের অনুমান বা রানওয়ে এবং চাকার মাপের হিসেবে ভুলের ঘটনাগুলি ঘটেছে। প্রায় ১৪ একরের বিমানবন্দরটির সাড়ে ৪ একর মতো জায়গায় টার্মিনাল বিল্ডিং, সাড়ে ৯ একর জায়গায় পার্কিং এরিয়া এবং রাস্তা রয়েছে। বাকিটা রানওয়ে, বিমান দাঁড় করানো ট্যাক্সি ট্র্যাক-সহ যাবতীয় এলাকা বায়ুসেনার নিয়ন্ত্রণাধীণ। রানওয়ের একপাশে টার্মিনাল ভবন, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) রয়েছে। অন্য প্রান্তে বায়ুসেনার দফতর, বাঙ্কার রয়েছে। এদিনের ঘটনাটি সেই দিকেই ঘটেছে।

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.