প্রচার সেরে বাড়ি ফেরার পথে বাঁকুড়ার ইঁদপুর পঞ্চায়েত সমিতির এক তৃণমূল প্রার্থী অসীম পাঠককে মারধরের অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে ইঁদপুর থানার মালশোল গ্রামে অসীমবাবুর উপরে সিপিএমের কিছু কর্মী-সমর্থক হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তৃণমূল কর্মীরা অসীমবাবুকে উদ্ধার করে প্রথমে ইঁদপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন। রাতে তাঁকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বাঠানো হয়। তৃণমূলের তরফে সিপিএমের জনা পনেরো কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইঁদপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তীর অভিযোগ, “বৃহস্পতিবার রাতে ব্রজরাজপুর অঞ্চলে প্রচার সেরে অসীমবাবু বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় মালশোল গ্রামে সিপিএমের দুষ্কৃতীরা লাঠি নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়েছিল। অসীমবাবুর মোটরবাইক আটকে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এলাকায় অশান্তি সৃষ্টির জন্যই সিপিএম এ সব শুরু করেছে।” অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএমের ইঁদপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক সুনীল গোস্বামীর দাবি, “এ রকম কোনও ঘটনার কথা আমরা জানতাম না। ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের কেউ জড়িত নয়। তবু রাজনৈতিক কারণে ভোটের আগে তৃণমূল আমাদের দলের কর্মী-সমর্থকদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে।”জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
|
মানবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে থানায় দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করেছেন এক গ্রামবাসী। মানবাজার থানার ঝাড়বাগদা গ্রামের বাসিন্দা বলরাম সিং সর্দারের অভিযোগ, ২০১২-১৩ আর্থিক বছরে এসআরডি প্রকল্পে উপভোক্তাদের মুরগি সরবরাহের জন্য মানবাজার পঞ্চায়েত থেকে তাঁর নামে ছ’হাজার টাকা মঞ্জুর হয়। কিন্তু, ওই টাকা তিনি পাননি। পরিবর্তে ঝাড়বাগদা গ্রামেরই বাসিন্দা বলরাম মাঝিকে তাঁর প্রাপ্য টাকা দিয়ে দেওয়া হয়। বলরাম সিং সর্দার বলেন, “চলতি বছর ১৩ মার্চ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে আমার নামে বরাদ্দ হয় ওই টাকা (চেক নম্বর ০৩৫১৬১)। ওই নম্বরের চেক আমাদের গ্রামের বলরাম মাঝিকে দেওয়া হয়েছে।” মানবাজার পঞ্চায়েতের সচিব চন্দ্রমোহন রাজোয়াড় বলেন, “কী কারণে এমন হয়েছে, বুঝতে পারছি না। সম্ভবত পদবি ভুল হয়ে থাকতে পারে।”
|
বার বেলায় জেলে বাজল বিপদ ঘণ্টি। সেই আওয়াজেই শুক্রবার পুরুলিয়া শহরের পুলিশ কর্মীরা শশব্যস্ত হয়ে পড়েন। অনেকই দৌড়োন জেলের দিকে। কারণ ওই জেলেই যে রয়েছেন মাওবাদী নেতা বিক্রম ওরফে অর্ণব দাম। আরও কত দাবি আসামি। টানা ১৫ মিনিট বেজে তবেই থামল ঘণ্টি? ব্যাপারটা কী? সংশোধনাগারের সুপার মধুসূদন সর্দার হলেন, “জেলের নিরাপত্তা রক্ষীরা বিপদের মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত, তা যাচাই করতেই ওই ঘণ্টি বাজানো হয়।”
|
রূপসী বাংলা এক্সপ্রেসের যাত্রাপথ পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শুক্রবার পুরুলিয়া স্টেশনের কাছে সিপিএমের একটি কনভেনশন হয়ে গেল। সম্প্রতি রেল দফতর ঘোষণা করে, পুরুলিয়া থেকে রূপসী বাংলা ট্রেনটি হাওড়ার পরিবর্তে সাঁতরাগাছি স্টেশন অবধি যাবে। পর দিন হাওড়ার পরিবর্তে সাঁতরাগাছি থেকে পুরুলিয়া রওনা দেবে। যাত্রীদের অসুবিধার কথা জানিয়ে ইতিপূর্বে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রতিবাদ জানায়। এ দিনের কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন রেলকর্মীদের বামপন্থী সংগঠনের নেতা এম এন প্রসাদ, পুরুলিয়ার প্রাক্তন কাউন্সিলর বিনায়ক ভট্টাচার্য, দলের যুবনেতা কৌশিক মজুমদার প্রমুখ।
পুরনো খবর: ট্রেনের যাত্রাপথ কমানোর প্রতিবাদে সরব কংগ্রেসও
|