রেকর্ড পতনের দিকে পা বাড়ানো টাকাকে ‘বাঁচাতে’ হস্তক্ষেপ করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। যার দৌলতে শুক্রবার পতনের নয়া নজির তৈরির হাত থেকে রক্ষা পেল টাকা। ডলারের দাম দাঁড়াল ৬০.২২ টাকা।
টাকার দিন ভাল না গেলেও, বৃহস্পতিবারের পর এ দিন ফের উঠেছে সেনসেক্স। ৮৫ পয়েন্ট বেড়ে থেমেছে ১৯,৪৯৫.৮২ অঙ্কে।
আমদানিকারীদের ডলার কেনার ঠেলায় এ দিন এক সময় মার্কিন মুদ্রার দাম হয়েছিল ৬০.৫৯ টাকা। যা গত জুনের সর্বকালীন রেকর্ডের (৬০.৭৬) খুব কাছে। ফলে বাধ্য হয়েই হস্তক্ষেপ করে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ডলার বিক্রি করে তারা। এতে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও টাকার পতন অবশ্য ঠেকানো যায়নি। শেষ পর্যন্ত ডলারের সাপেক্ষে তার দাম পড়ে ৯ পয়সা। সেই সঙ্গে টানা ন’সপ্তাহ ধরে পড়ার নজিরও তৈরি করে টাকা।
বাজার সূত্রে খবর, শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক পরিস্থিতি কিছুটা সামলালেও, সাম্প্রতিক কালে টাকার লাগাতার পতন রুখতে তাদের ভূমিকা নিয়ে বিশেষ সন্তুষ্ট নন লগ্নিকারীরা। তার উপর ডলার-টাকা বিনিময়ের কোনও নির্দিষ্ট হার তাঁরা স্থির করে দিতে চান না বলে আগের দিন শীর্ষ ব্যাঙ্কের গভর্নর ডি সুব্বারাওয়ের মন্তব্য অনিশ্চয়তা আরও বাড়িয়েছে। বরং বিশেষজ্ঞদের ধারণা, কেন্দ্র আগামী দিনে বিদেশি লগ্নির পথ আরও খুলে দিলে কমবে চলতি খাতে বাণিজ্য লেনদেন ঘাটতি। তখন পরিস্থিতি বদলাতে পারে। রয়টার্সের এক সমীক্ষাও পূর্বাভাস দিয়েছে, আগামী এক বছরে প্রতি ডলারের দাম নেমে আসতে পারে ৫৭.৫০ টাকায়।
এ দিকে, লগ্নিকারীদের মুনাফা ঘরে তোলার তাগিদে সেনসেক্স দিনের শুরুর দিকের উত্থান ধরে রাখতে পারেনি। তবে বেশ কিছু সংস্থার শেয়ার দরের বৃদ্ধি শেষ পর্যন্ত বাজারকে চাঙ্গা রাখে। যেমন—
• আগামী এপ্রিল থেকে প্রতি ত্রৈমাসিকে বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম পাওয়ার আশায় আরআইএলের দর ২.২% বৃদ্ধি।
• সিগারেটের একটি ব্র্যান্ডের দাম বাড়ায় আইটিসির ১.১% বৃদ্ধি।
• মূল সংস্থা ইউনিলিভার মালিকানা বাড়ানোয় হিন্দুস্তান ইউনিলিভার-এর রেকর্ড শেয়ার দর।
• আমদানি শুল্ক বাড়ানোয় চিনিকলগুলির দর ৬% পর্যন্ত বাড়া ইত্যাদি। |