আশঙ্কাই সত্যি হল। ক্ষমতা বদলের দু’দিনের মাথায় সেনারা রক্ত ঝরাল মিশরে। শুক্রবার সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে কায়রোর পথে নেমেছিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুডের কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের ঠেকাতে গুলি চালায় সেনা। নিহত হয়েছেন কমপক্ষে তিন জন মুরসি-সমর্থক। আহত বেশ কয়েক জন।
বুধবার মুরসিকে সরিয়ে মিশরের ক্ষমতা দখল করে সেনা। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন আদলি মনসুর। এ দিনও মুরসি-বিরোধীরা তাহরির স্কোয়ারে উদ্যাপনে মেতেছিলেন। |
আজ মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্য-সমর্থকরা মিছিল করেন কায়রোয়। ছিলেন অন্য মুরসি-সমর্থকরাও। মিছিল এগিয়ে যেতে থাকে রিপাবলিকান গার্ডের দফতরের দিকে। হাতে মুরসির ছবি। ‘মুরসি জিন্দাবাদ, সেনা মুর্দাবাদ’ স্লোগান দিতে দিতে মিছিল এসে পৌঁছয় রিপাবলিকান গার্ডের দফতরের উল্টো দিকে। তৈরি ছিল সেনাও। তারা বিক্ষোভকারীদের রাস্তা পেরোতে নিষেধ করে। নিষেধ উপেক্ষা করে মিছিল এগিয়ে যেতে থাকে। প্রথমে সেনা শূন্যে গুলি চালায়। তাতে কাজ না হওয়ায় বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। মারা যান তিন জন।
মুরসির পতনের পরে মিশরে রক্তপাত এই প্রথম নয়। বুধবার রাতে ৬১ বছরের মুরসিকে সেনাবাহিনী হটিয়ে দেওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় মুরসির সমর্থক এবং বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত ৫০০-রও বেশি। তবে সেনাবাহিনীর গুলিতে প্রাণ গেল এই প্রথম। শপথ নেওয়ার পরেই মুরসি মুসলিম ব্রাদারহুডের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। সেনার গুলিতে মুসলিম ব্রাদারহুডের তিন সদস্যের প্রাণ যাওয়ায় ঘুরে-ফিরে আসছে সেই প্রশ্নটাই।
ফারাওয়ের দেশের আসল ক্ষমতা কার হাতে নতুন প্রেসিডেন্ট আদলি মনসুর না সেনা?
|