পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে সব জায়গায় দলীয় প্রার্থী নেই, সে সব ক্ষেত্রে কাদের সমর্থন করা হবে, তা ঠিক করতে বৈঠকে বসছে কংগ্রেস। সোমবার বিধান ভবনে প্রদেশ কর্মসমিতির বৈঠকে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। থাকার কথা দলের হাইকম্যান্ডের প্রতিনিধি সি পি জোশীর। এআইসিসি-র তরফে এ রাজ্যে দলের দায়িত্ব পাওয়ার পরে এই প্রথম কলকাতায় আসছেন জোশী।
এ বার ৫০% আসনেও কংগ্রেস প্রার্থী দিতে পারেনি। শুধু দক্ষিণবঙ্গেরই ২৮টি ব্লকে কংগ্রেসের প্রার্থী নেই। তা সত্ত্বেও দল পঞ্চায়েতে ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি অর্জন করবে বলে প্রদীপবাবুর আশা। বৃহস্পতিবার ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে প্রদীপবাবুর দাবি, “তৃণমূলের সঙ্গে জোট ভাঙায় লাভ হয়েছে। দল নিজের পায়ে দাঁড়াতে পেরেছে।”
প্রদেশ সভাপতির ব্যাখ্যা, ১৯৯৮-এ কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল তৈরির পর থেকে টানা বহু বছর দলীয় কর্মীদের তৃণমূলে যাওয়ার প্রবণতা ছিল। ২০১১-য় ‘পরিবর্তন’-এর আকাঙ্ক্ষাকে সম্মান দিতে শক্তি দুর্বল হবে জেনেও কংগ্রেস তৃণমূলের সঙ্গে জোট করেছে। রাজ্য সরকার থেকে বেরিয়ে আসার পর দলকে সংগঠিত করতে মাত্র ৯ মাস সময় পেয়েছে কংগ্রেস। তার মধ্যেই তারা অনেকটা ঘর গোছাতে পেরেছে। কিন্তু তৃণমূলের ‘সন্ত্রাসে’র জন্য অর্ধেকের বেশি আসনে প্রার্থী দেওয়া যায়নি। তবুও প্রদীপবাবুর আশা, “বিধানসভা ভোটে আমরা যে শক্তি হারিয়েছিলাম, তার অনেকটা পঞ্চায়েতে উদ্ধার করা যাবে। বাকিটা হবে লোকসভার আগে।”
পঞ্চায়েত ভোটকে লোকসভার প্রস্তুতি হিসেবেই দেখছে কংগ্রেস। প্রদীপবাবুর দাবি, লোকসভা ভোটেও তৃণমূলের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা নেই। তিনি জানান, জোশীর সঙ্গে কথা বলেও জোটের সম্ভাবনার কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। প্রদীপবাবুর এও দাবি, “কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটের ৭ দিন আগে থেকে টহল দিলে মানুষ সাহস পাবেন। তা হলে ভোট কিছুটা অবাধ ও সুষ্ঠু হতে পারে।” |