দলীয় সভা সেরে ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হলেন এক তৃণমূল নেতা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বীরভূমের কাঁকরতলা থানার হজরতপুরের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম জীবন ঘোষ (৫৯)। তাঁর বাড়ি কাঁকরতলার ফলপাই গ্রামে।
বীরভূমের পুলিশ সুপার মুরলীধর শর্মা বলেন, “ওই খুনের ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ওই নেতা খুনে কারা জড়িত তা দেখা হচ্ছে।”
এ দিন বিকেলে হজরতপুরে দলীয় কার্যালয়ে জীবনবাবু একটি সভায় যোগ দিতে এসেছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা নাগাদ সভা সেরে এক দলীয় কর্মীর মোটর বাইকের পিছনে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। |
তখনও বেঁচে জীবন ঘোষ। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। |
মাঝে হজরতপুর-ফলপাই রাস্তায় একটি পলাশ ঝোঁপের আড়াল থেকে তিনটি মোটর বাইক তাঁদের পিছু নেয়। তৃণমূলের হজরতপুর অঞ্চল সভাপতি প্রলয় ঘোষ বলেন, “হজরতপুরে এমটা সাইডিংয়ের কাছে লাঠি দিয়ে আঘাত করে জীবনবাবুদের মোটর বাইকটিকে রাস্তার ফেলে দেওয়া হয়। তারপরেই কয়েকজন একটি ওই মোটর বাইক তিনটি থেকে নেমে জীবনবাবুকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়।” জীবনবাবুর কাঁধে ও বাঁ কানের পেছনে গুলি লাগে। জীবনবাবু যাঁর বাইকে সওয়ার হয়েছিলেন, তাঁর মোবাইল ফোন থেকে ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন দলের লোকজন। তাঁরাই গুরুতর জখম অবস্থায় গুলিবিদ্ধ নেতাকে উদ্ধার করে সিউড়ি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কিছুক্ষণের মধ্যেই জীবনবাবুর মৃত্যু হয়।
প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “ঘটনার পিছনে কে বা কারা আছে, তা আমরা পরে দেখছি। তবে আমাদের প্রথম চেষ্টা ছিল, কী ভাবে আমাদের ওই নেতাকে বাঁচানো যায়।” |