কলেজ ছাত্রীকে অশ্লীল এসএমএস পাঠানোর অভিযোগে গ্রেফতার হল এক যুবক। বুধবার রাতে আউশগ্রামে বাড়ি থেকেই ওই যুবককে ধরা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, বছর একুশের ওই তরুণী উত্তর কলকাতার বাসিন্দা। নির্মল ভট্টাচার্য নামে এক যুবক কয়েক মাস ধরে ওই তরুণীকে অশ্লীল এসএমএস পাঠিয়ে উত্যক্ত করছিল। মার্চ মাসে অনলাইনে করা তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতেই এই গ্রেফতার। পুলিশ জানায়, পেশায় ইলেকট্রিকের কর্মী নির্মলের বাড়ি আউষগ্রামের মধ্যপাড়ায়। তল্লাশিতে অভিযুক্তের থেকে তিনটি মোবাইল ও পাঁচটি সিম কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, নির্মল ওই তরুণীর দুঃসম্পর্কের ভাই হয়।
|
পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিভিন্ন পর্বে শাসক দলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠলেও নিউটাউনশিপ থানার পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করছে না বলে অভিযোগ করলেন সিপিএমের জেমুয়া-বিধাননগর লোকাল কমিটির সম্পাদক পঙ্কজ রায় সরকার। অবিলম্বে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলে বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডের কাছে ফ্যাক্স বার্তা পাঠিয়েছেন তিনি।
সিপিএম সূত্রে জানানো হয়েছে, ৩০ জুন জেমুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন লাউদোহা ব্লক অফিসে। অভিযোগ, সেখানে যাওয়ার সময় স্থানীয় হাটতলায় সিপিএম প্রার্থী ও সমর্থকদের ঘিরে ধরেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁরা সিপিএমের প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের নিগ্রহ করেন এবং তাঁদের ফিরে যেতে বাধ্য করেন। পরদিন প্রার্থী ও প্রস্তাবকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। থানায় সব’কটি ক্ষেত্রে লিখিত অভিযোগ করা হলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে তাঁর দাবি পঙ্কজবাবুর। তিনি বলেন, “নির্দিষ্ট ভাবে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নাম দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছি আমরা। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বুধবার তা জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছি।” দলের জেলা সম্পাদক অমল হালদার বলেন, “নিরপেক্ষ ভাবে পুলিশ যে কাজ করছে না তা বার বার প্রমাণিত হচ্ছে। জেমুয়া এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো না হলে মানুষ যে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না, আমরা নিশ্চিত।” নিউ টাউনশিপ থানার ওসি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
|
তৃণমূলের পতাকা ও ফেস্টুন ছেঁড়ার অভিযোগ উঠল সালানপুর ও বারাবনি এলাকায়। এ নিয়ে বারাবনি ও রূপনারায়ণ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল। নির্বাচন কমিশনারকেও দলের তরফে ফ্যাক্স বার্তা পাঠানো হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।
তৃণমূলের বারাবনি ও সালানপুরের নির্বাচনী পরিদর্শক পাপ্পু উপাধ্যায় জানান, বৃহস্পতিবার সকালে বারাবনি ব্লকে ইটাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বালিয়াপুর গ্রামে তৃণমূলের একটি পতাকাকে আধপোড়া অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। এর জেরে বেশ কিছু সদস্য সমর্থক রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পুলিশ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ থামে। অন্য দিকে, সালানপুর ব্লকের রূপনারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অরবিন্দ নগর এলাকায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি-সহ একটি ফেস্টুন ছেঁড়া অবস্থায় দেখেন এলাকার মানুষ। খবর পেয়েই দলের সদস্য সমর্থকেরা ঘটনাস্থলে যান। রূপনারায়ণপুর ফাঁড়িতে গিয়ে ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের দাবি জানান। পরে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
|
ওসি-র বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলায় আসানসোলের পুলিশ কমিশনার অজয় নন্দকে দু’সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। ২০১১ সালের ১৯ মে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হলেও এতদিন পুলিশ কোনও রিপোর্ট জমা দেয়নি।
২০১১ সালে অন্ডাল থানার ওসি জয়জিত্ লোধের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন একটি বেসরকারি সংস্থার মালিক অশোক চক্রবর্তী। তাঁর অভিযোগ ছিল, তাঁর দুই কর্মীর কাছ থেকে তিন দুষ্কৃতী প্রায় ১২ লক্ষ টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনতাই করেছিল। দুই দুষ্কৃতীকে ধরে পুলিশ দাবি করে, তাদের কাছে মাত্র ৪২ হাজার টাকা পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু অশোকবাবুর দাবি, তিনি লক আপে গিয়ে দুষ্কৃতীদের কাছে জেনেছেন, পুলিশ তাদের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ১১ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে। ওসির কাছে গিয়ে পুরো টাকার দাবি জানালে তিনি পাত্তা দেননি বলে তাঁর অভিযোগ। এর পরেই তিনি হাইকোর্টে মামলা করেন।
২৮ জুন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। বিচারপতি আসানসোলের পুলিশ কমিশনার অজয় নন্দকে দু’সপ্তাহের মধ্যে পুরো বিষয়টির তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ কমিশনার অজয় নন্দ বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশ মতো দু’সপ্তাহের মধ্যে সব রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।” |