দলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী নৃপেন মন্ডলকে খুনে অভিযুক্ত ছয়জন তৃণমৃল নেতাকে গ্রেফতারের দাবিতে বুধবার মালদহ-নালাগোলা রাস্তায় অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি। সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত অবরোধে বামনগোলা, নালাগোলা, পাকুয়ামুখী সমস্ত যানবাহন আটকে পড়ে। দেখা দেয় তীব্র যানজট। সরকারি কর্মী, শিক্ষক-সহ সাধারণ যাত্রী সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেননি। বিজেপির হবিবপুর অঞ্চল সভাপতি প্রতাপ চন্দ্র সিংহ বলেন, “গত ১৬ জুন রাতে নৃপেনবাবু খুন হন। যড়যন্ত্রকারী হিসাবে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি-সহ ছয় জন দলের নেতার নামে লিখিত আভিযোগ জানানোর পরেও পুলিশ তাদের ধরছে না। অথচ অভিযোগে নাম না থাকা অন্য লোক জনকে ধরা হচ্ছে।” আর দলের জেলা সভাপতি শিবেন্দু শেখর রায় বলেন,“অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ পর্যন্ত করা হচ্ছে না। শাসকদলে নেতা হওয়ায় পুলিশ তাঁদের ধরছে না।” |
এ দিন হাজার খানেক বিজেপি কর্মী সমর্থক মালদহ-নালাগোলা রাজ্য সড়কের উপর পলিথিন পেতে বসে বিক্ষোভ অবস্থান শুরু করেন। রাস্তার উপরই মঞ্চ বেঁধে বিজেপি নেতার একের পর এক ভাষণ দেন। পুলিশ অবরোধ তোলার কোনও রকম চেষ্টাই করেনি বলে যাত্রী ও গাড়ির চালকদের অভিযোগ। পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছিলাম। ওই খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দু’জনকে ধরা হয়েছে।” পুলিশ সুপার জানান, নিহতের স্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের বিরুদ্ধে সরাসরি খুনে অভিযোগ করেননি। তিনি তাঁদের ষড়যন্ত্রকারী বলেছেন। আমরা তদন্ত করছি।
অবরোধে সামিল হয়েছিলেন নিহত বিজেপি নেতা নৃপেন মন্ডলের স্ত্রী ডলি মন্ডল। তাঁর অভিযোগ, “মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তৃণমূল নেতারা হুমকি দিচ্ছে। বাড়ির সবাইকে খুনের কথা বলা হচ্ছে। ভয়ে বাড়িতে একা থাকতে পারছি না।” এব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার বলেন, “ওই মহিলা এই নিয়ে কোনও অভিযোগ করেননি।” এই প্রসঙ্গে তৃণণূল কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটের মুখে রাজনৈতিক ফয়দা তুলতেই বিজেপি পথ অবরোধ করেছে। ওই খুনের ঘটনায় আমাদের দলের কেউ জড়িত নন।”
|