প্ল্যাটফর্ম চালুর পর বছর গড়ালেও তৈরি হয়নি যাত্রীশেড। নেই যাত্রীদের বসার ব্যবস্থা সহ বিশুদ্ধ পানীয় জল ও শৌচাগার। আলোর ব্যবস্থা না হওয়ায় প্লাটফর্ম চত্বরে নেমে আসছে অন্ধকার। রায়গঞ্জ স্টেশনের দুই নম্বর প্লাটফর্মে এমনই অবস্থার জেরে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পরিকাঠামো তৈরির কাজ শেষ না করে কেনও প্লাটফর্মটি চালু করা হল সেই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন যাত্রীরা। উত্তর দিনাজপুর রেলযাত্রী সমিতি, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন ও সিপিএমের তরফে পরিকাঠামোর কাজ শেষ করার দাবি জানানো হয়েছে। স্টেশন সুপার জয়ন্ত চন্দ বলেছেন, “সমস্যা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানেন।” |
যাত্রীরা জানান, প্রতিদিন রায়গঞ্জ স্টেশন হয়ে কাটিহার-রাধিকাপুর রুটে তিন জোড়া প্যাসেঞ্জারের পাশাপাশি রাধিকাপুর থেকে কলকাতা, দিল্লি ও নিউ জলপাইগুড়ি রুটে তিন জোড়া এক্সপ্রেস ও ডিএমইউ যাতায়াত করে। স্টেশনে দিনভর ট্রেন যাতায়াত করায় দেড় বছর আগে নির্মীয়মাণ অবস্থাতেই দুই নম্বর প্লাটফর্ম চালু করে দেন রেল কর্তৃপক্ষ। প্যাসেঞ্জার ও এক্সপ্রেস ট্রেন দুই নম্বর প্লাটফর্মে দাঁড়ায়। যাত্রীদের অভিযোগ, প্ল্যাটফর্মের শেড না থাকায় যাত্রীদের রোদে ও বৃষ্টিতে দাঁড়াতে হয়। বসার ব্যবস্থা না থাকায় বয়স্ক যাত্রীরা ফুটব্রিজ ও প্লাটফর্মের মেঝেতে বসে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে বাধ্য হন। আলোর অভাবে রাতে ট্রেনে ওঠানামা করার সময়ে দুর্ঘটনারও আশঙ্কা দেখা দেয়। রেলযাত্রী সমিতির সম্পাদক তপনকুমার চৌধুরী বলেন, “যাত্রীদের স্বার্থে অবিলম্বে পরিকাঠামো তৈরির কাজ শেষ করা না হলে ট্রেন অবরোধ করে আন্দোলনে নামা হবে।” পশ্চিম দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স এবং রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক জয়ন্ত সোম ও অতনুবন্ধু লাহিড়ী জানান, ডিআরএমকে সমস্যার কথা লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। ব্যবসা বন্ধও ডাকা হতে পারে।
সিপিএমের পক্ষে রায়গঞ্জ লোকাল কমিটি সম্পাদক নীলকমল সাহা এই দিন বলেন, “দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর যাত্রীদের নিয়ে আন্দোলনে নামা হবে।”
|