শিলিগুড়ি হাসপাতালের করিডরে স্বাস্থ্য কর্মীদের বাইক, সাইকেল রাখা নিয়ে সমস্যা মেটাতে হাসপাতাল সুপারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন রাজ্যের স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য। বুধবার শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। হাসপাতাল সুপার সঞ্জীব মজুমদারকে ডেকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বলেন। তবে করিডর থেকে বাইক, সাইকেল সরাতে কর্তৃপক্ষকে কোনও ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। তাতে হতাশ হাসপাতালেরই কর্মীদের একাংশ।
রুদ্রবাবু বলেন, “করিডরে এ ভাবে সাইকেল, বাইক রাখা ঠিক নয়। তবে স্বাস্থ্যকর্মীদের সাইকেল, বাইক রাখার জায়গার সমস্যা রয়েছে। সুপারকে বিষয়টি দ্রুত দেখতে বলেছি। তা ছাড়া বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স হাসপাতালের ক্যাম্পাসে দাঁড় করিয়ে রাখা যাবে না। রোগী নিয়ে বা নামিয়ে চালকেরা গাড়ি নিয়ে যেন চলে যান কর্তৃপক্ষকে তা দেখতে বলা হয়েছে।” হাসপাতাল সুপার সঞ্জীব মজুমদার জানান, হাসপাতালের বহির্বিভাগের কাছে পার্কিং জোন করার কথা ঠিক হয়েছে। শীঘ্রই যাতে সেই ব্যবস্থা করা যায় তারা সেই চেষ্টা করছেন। |
বিশেষত, রুদ্রবাবু এ দিন সকালে করিডরের পরিস্থিতি দেখার সময় হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীও তাঁকে সমস্যা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ জানান। এমনকী যাঁরা বাইক, সাইকেল রাখছেন তাদের নিষেধ করলেও নিরাপত্তা কর্মীদের কথা উড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ। এমনকী দুটি স্কুটার তিন মাস ধরে পড়ে রয়েছে করিডরে। কেন এমনটা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রোগীর পরিবারের লোকেরাও। করিডরে পার্কিং হওয়ায় ট্রলি করে মুমুর্ষু রোগীকে সেখান দিয়ে ওয়ার্ডে নিয়ে যেতে কতটা বেগ পেতে হয় তা রুদ্রবাবুর কাছে জানান নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরাও।
করিডরে বাইক, সাইকেল রাখা ছাড়াও হাসপাতাল চত্বরে দিনভর দাঁড়িয়ে থাকা বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্সের নম্বরগুলি নিজেই নথিভুক্ত করেন রুদ্রবাবু। সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স ছাড়া হাসপাতালের ক্যাম্পাসে বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স রাখা নিষিদ্ধ। এমনকী রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীও এক সময় ওই সমস্ত অ্যাম্বুল্যান্সের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নিদের্শ দিয়েছিলেন। তার পর কিছু দিন হাসপাতাল চত্বরে বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স দাঁড়ানো বন্ধ ছিল। ফের আগের পরিস্থিতি ফিরে এসেছে। অ্যাম্বুল্যান্সের চালকেরা অবশ্য তাদের গাড়ি দাংড় করানোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থার দাবি করেছেন।
|