প্রতিযোগী কম হওয়ায় শেষ পর্যন্ত আশা রায়কে হিটে নামতেই হল না। ফলে কোনও লড়াই ছাড়াই পরের পর্বে পৌছে গেলেন বাংলার এই অ্যাথলিট। সিঙ্গুরের মেয়ে আজ বৃহস্পতিবার সরাসরিই নামছেন সেমিফাইনালে।
পুণেতে এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে মেয়েদের একশো মিটার দৌড়ের হিট নির্ধারিত ছিল বুধবার বিকেলে। কিন্তু এই ইভেন্টে ২৪ জন প্রতিযোগী হওয়ায় সংগঠকরা সিদ্ধান্ত নেন তিনটি সেমিফাইনাল করা হবে। সেখান থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় নিয়ে ছয় জন এবং সেরা সময় করা দু’জন নামবেন পদকের লড়াইয়ে আজ আশা ছাড়াও নামবেন বাংলার হাইজাম্পার মল্লিকা মণ্ডল।
বৃষ্টির তোড়ে বিশ্রী অবস্থা পুণের বালেওয়াড়ি স্টেডিয়ামের। সুপার সপার না থাকায় ট্র্যাক এবং তার আশেপাশের জল সরাতে মান্ধাতার আমলের কোদাল-বেলচাই ব্যবহার করছেন সংগঠকরা। এর মধ্যেই আশার ইভেন্ট ছাড়া নির্ধারিত সব প্রতিযোগিতাই হয়। ভারত দুটি ব্রোঞ্জ পায়। তবে অ্যাথলিটদের পারফরম্যান্সে বৃষ্টি অনেকটাই ছায়া ফেলে।
পুরুষদের শটপাটে ওমপ্রকাশ ব্রোঞ্জ পান। গতবার মিটের একমাত্র সোনাজয়ী লং জাম্পার ময়ূখা জনিকে এ বার ব্রোঞ্জ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল। গোড়ালিতে চোট থাকায় তিনি ভুগছিলেন। বৃষ্টির জন্য বারবার তাঁর ইভেন্টও বন্ধ হচ্ছিল। তার মধ্যেও লড়াই করে পদক জিতলেন ময়ূখা। তবে হতাশ করলেন কমনওয়েলথ গেমসের সোনাজয়ী কৃষ্ণা পুনিয়া। মেয়েদের ডিসকাসে তিনি চার নম্বরে শেষ করেন। মেয়েদের দশ হাজার মিটার দৌড়ে হতাশ করলেন প্রিজা শ্রীধরন। ছেলেদের চারশো মিটার দৌড়ের সেমিফাইনালে উঠলেন মহম্মদ কুনহি এবং রাজীব অরোরা। মেয়েদের ৪০০ মিটারেও এগোলেন এম আর পুভামা এবং অনু মারিয়ান জোনস।
|