দুই জেলায় দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার দুই যুবক
স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে একাদশ শ্রেণির এক আদিবাসী ছাত্রীকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ মালদহের হবিবপুর থানার কেন্দপুর এলাকায় এই ঘটনার পরে ওই ছাত্রীকে প্রথমে বুলবুলচন্ডী আরএন রায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় তাকে পরে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রশান্ত দে নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ওই ছাত্রীকে মাদক খাইয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রশান্তর বাড়ি কেন্দপুকুর এলাকাতেই। তাঁর দাদার একটি জুতোর দোকান আছে। সে নিজে তেমন কিছুই করে না। তার একটি গাড়ি রয়েছে। আগে সে একবার মূর্তি চুরির অবিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল।
ওই কিশোরীকে প্রশান্ত প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত বলে অভিযোগ। এ দিন স্কুল ছুটির পরে কেন্দপুকুরে বাস ধরার জন্য দাঁড়িয়েছিল সেই কিশোরী। প্রশান্ত তাকে তখন জোর করে একটি ছোট গাড়িতে তুলে ৯ মাইলের দিকে পালিয়ে যায়। অন্য যে ছাত্রীরা সেখানে বাস ধরার জন্য দাঁড়িয়েছিল, তারা চিৎকার করে ওঠে। কিন্তু এলাকার লোকজন যত ক্ষণে এগিয়ে আসেন, তত ক্ষণে গাড়িটি চলে গিয়েছে। তবে তারপরেই খোঁজাখুঁজি শুরু হয়ে যায়। আধ ঘণ্টা পরে বিকেল চারটে নাগাদ ওই ছাত্রীকে রক্তাক্ত ও আচ্ছন্ন অবস্থায় পাওয়া যায় কেন্দপুকুর স্কুলের পিছনের মাঠে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রশান্তের সঙ্গে ছিল তার এক বন্ধুও। পুলিশ সুপার বলেন, “এই ঘটনায় প্রশান্ত ছাড়া আর কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সম্ভবত নিজের গাড়িতেই ওই ছাত্রীকে জোর করে তুলেছিল প্রশান্ত। ওই ছাত্রী এখনও কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। আমরা প্রশান্তকে জেরা করছি।”
তৃতীয় শ্রেণির এক বালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে এক তরুণকে হুগলির চাঁপদানি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম দীপক চৌধুরী। বাড়ি কৃষ্ণনগরে। পেশায় নিরাপত্তারক্ষী দীপক দিন কয়েক আগে চাঁপদানিতে দিদির বাড়িতে বেড়াতে আসে। সেই বাড়ির পাশেই থাকে ওই নাবালিকার পরিবার। রবিবার রাতে সে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। সোমবার রাতে দীপককে ধরা হয়। চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে মেয়েটিকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠায় পুলিশ। সেখানে অভিযুক্ত তরুণেরও ডাক্তারি পরীক্ষা হয়। মঙ্গলবার চন্দননগর আদালতে তোলা হলে ধৃতকে ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। হুগলিরই মানকুণ্ডুতে বছর দশেক আগে ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় গায়ে অ্যাসিড ঢেলে এক বধূকে খুন করেছিল এক যুবক। নাম হরিমোহন মণ্ডল ওরফে বিলা। বাড়ি রেজিনগরে। হরিমোহনকে মঙ্গলবার ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন চন্দননগর আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক আরতি শর্মা রায়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.