পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী যে রাস্তা ধরে কোনও গন্তব্যে যাবে, তারা সেই রাস্তা ব্যবহার করবে না ফেরার সময়ে। ঝাড়খণ্ডে দুমকার কাঠিকুণ্ডে মাওবাদী হামলার প্রেক্ষিতে যাতায়াতের সময় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য এমনই সতর্কবার্তা জারি করল রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর। মঙ্গলবার ঘটনার পরপরই এ রাজ্যের জঙ্গলমহলের সমস্ত থানা এবং পুলিশ ও সিআরপি’র ক্যাম্পগুলিতেও বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ঝাড়খণ্ড থেকে মাওবাদীরা এ রাজ্যে ঢুকে পড়তে পারে বলে আগেই পুলিশকে সতর্ক করেছিল গোয়েন্দা দফতর। দফতরের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের সময় মাওবাদীরা জঙ্গলমহলে নতুন করে অশান্তির ছক কষছে। ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া বেলপাহাড়ির শিমুলপাল অঞ্চলের জঙ্গলপথ দিয়ে মাঝে মধ্যেই মাওবাদীরা আসা যাওয়া করছে। মাওবাদী-গতিবিধির খবর রয়েছে ওড়িশা লাগোয়া নয়াগ্রাম ব্লকের কয়েকটি এলাকাতেও। এই পরিস্থিতিতে জঙ্গলমহলে পুলিশ ও সিআরপি’কে সতর্কতার সঙ্গে তল্লাশি ও যাতায়াত করতে বলা হচ্ছে। |
জঙ্গলমহলে দলীয় প্রার্থীদের রাতে প্রচারের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে তৃণমূল। দলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোত ঘোষ বলেন, “এখন জঙ্গলমহলের গ্রামাঞ্চলে পুলিশের সোর্স যথেষ্ট রয়েছে। ফলে এখানে মাওবাদী ও তাদের সহযোগীরা সুবিধে করতে পারবে না। তবু বেশি রাতে প্রার্থীদের প্রচারে না গেলেই ভাল।” বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছে পুরুলিয়াও। এসপি সি সুধাকর বলেন, “আমরা সজাগ রয়েছি। অযোধ্যা পাহাড় এলাকায় নিয়মিত অভিযান চলছে। ছত্তীসগঢ়ে সাম্প্রতিক মাওবাদী হানার পর থেকেই বাড়তি নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।” জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, দুমকার ঘটনার পরে জেলার জঙ্গলমহলের ৯টি থানা ছাড়াও জঙ্গলঘেঁষা আরও ৪টি থানা এলাকায় সতর্কতা জারি হয়েছে। পাহাড় ঘেঁষা বলরামপুর, বাঘমুণ্ডি, আড়শা এই তিন থানা এলাকায় ‘লং রেঞ্জ পেট্রোলিং’ ও চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়েছে। |