টুকরো খবর
রূপসী বাংলা ট্রেনের গতিপথ বদলে ক্ষোভ
সাধারণ মানুষ ও নিত্যযাত্রীদের ক্ষোভের কথা মাথায় রেখে রূপসী বাংলা ট্রেনের যাত্রাপথ কমিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে সিপিএমের পরে এ বার সরব হল কংগ্রেস। ঘটনাচক্রে যে দলের সাংসদ অধীর চৌধুরী কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী। রেল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, হাওড়া-পুরুলিয়া রুটের এই ট্রেনটি আগামী ১৫ জুলাই থেকে সাঁতরাগাছি-পুরুলিয়া হয়ে যাবে। অর্থাৎ, পুরুলিয়া স্টেশন থেকে আগের সময়েই ছেড়ে ট্রেনটির গন্তব্য হাওড়ার বদলে সাঁতরাগাছি হবে। আবার সাঁতরাগাছি থেকে পরদিন ভোর ছ’টায় পুরুলিয়ার উদ্দেশে ট্রেনটি ছাড়বে। রেলের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে পুরুলিয়া তো বটেই, বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে নিত্যযাত্রীদের মধ্যে। সোমবার পুরুলিয়া স্টেশনে এই ট্রেন আটকে রেখে কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখায় ডিওয়াইএফ এবং এসএফআই। সামনে পঞ্চায়েত ভোট হওয়ায় নড়েচড়ে বসেছেন কংগ্রেস নেতৃত্বও। দল সূত্রের খবর, মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য অধীরবাবুকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি দলের পক্ষ থেকে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সদর দফতরেও অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবি জানানো হয়েছে। পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিভাস দাস বলেন, “এই ট্রেনটি পুরুলিয়ার মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন। শুধু তাই নয়, হাওড়া থেকে পুরুলিয়ার সংযোগকারী সরাসরি দু’টি মাত্র এক্সপ্রেস ট্রেনের অন্যতম এই রূপসী বাংলা। সকাল ছ’টায় হাওড়া থেকে এই ট্রেন ধরতেন যাত্রীরা। তার বদলে সাঁতরাগাছি থেকে ধরতে হবে। এটা খুবই অসুবিধার।” দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রার ডিআরএম অরবিন্দকুমার মিত্তল জানিয়েছেন, এই দাবির বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

দাম না পেয়ে আত্মহত্যা নেই, হলফনামা
ফসলের দাম না পেয়ে ঋণের দায় মাথায় নিয়ে এক জন কৃষকও আত্মহত্যা করেনি বলে হাইকোর্টে হলফনামা পেশ করেছে রাজ্য সরকার। কৃষক সভার সভাপতি সিপিএম নেতা মদন ঘোষের অভিযোগ, “আগে মুখ্যমন্ত্রী অন্তত এক জন কৃষকের আত্মহত্যাকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। এখন তা-ও চেপে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এই হলফনামা তারই প্রমাণ।” ২০১১ সালের অক্টোবর মাস থেকে এ বছর ২৩ মে পর্যন্ত ফসলের দাম না পেয়ে ৮৭ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন বলে মদনবাবুর অভিযোগ। আত্মঘাতী কৃষকদের পরিবারবর্গকে ক্ষতিপূরণের দাবিতে কৃষক সভা সম্প্রতি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। কৃষি দফতরের এক মুখপাত্র বলেন, “রাজ্য সরকার প্রথম থেকেই বলছে, ফসলের দাম না পেয়ে কেউ আত্মহত্যা করেনি। আদালতেও তা-ই বলা হয়েছে।” মদনবাবুর অভিযোগ, রাজ্য সরকার ধান ও পাটের দাম বেঁধে দিলেও মিল-মালিক, দালাল ও ফড়েদের চাপে কৃষকরা অভাবী বিক্রিতে বাধ্য হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির ফলে ডিজেল ও সারের দাম বাড়ছে, বেড়েছে কৃষির খরচ। এ সবের বিরুদ্ধে বামপন্থী কৃষক সংগঠনগুলি আন্দোলনে নামবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.