ভোট হবে মঙ্গলবার। হাইকোর্টের নির্দেশে এমনটাই ঠিক ছিল এত দিন। সেই হিসাবে ভোটের কাজের জন্য নেওয়া পুরুলিয়া জেলার একাধিক স্কুল-কলেজে ছুটিও দেওয়া হয়েছিল। এখন ভোট পিছিয়েছে। স্কুল কি খুলবে? ভেটের কাজে নেওয়া আরও যে সব স্কুল-কলেজ খোলা রয়েছে, সেখানেও ছুটি দেওয়া নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যে বলরামপুরে স্কুল খোলা থাকছে বলে মঙ্গলবার প্রশাসন থেকে মাইকে প্রচারও চালানো হয়। বিভ্রান্তি কাটাতে এ দিন পুরুলিয়ার জেলাশাসক মহম্মদ গুলাম আলি আনসারি সব বিডিওকে বৈঠকে ডেকে ওই স্কুল-কলেজগুলির পড়াশোনা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সেই নির্দেশ দেন। জেলাশাসক বলেন, “ওই ২০টি স্কুল-কলেজে স্ট্রংরুম ছাড়া বাকি ক্লাসগুলিতে পড়াশোনা হবে। ভোটের কাজে যতটা সম্ভব স্কুলের কম ঘর যাতে ব্যবহার হয় এবং পড়ুয়াদের সমস্যা কম হয়, তা দেখতে বলেছি।”
ভোটকর্মীদের ভোটগ্রহণের সরঞ্জাম দেওয়ার জন্য প্রতিটি ব্লকে একটি করে স্কুল বা কলেজ বেছে নিয়েছে প্রশাসন। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই স্ট্রংরুম হওয়ার কথা। এ জন্য পুরুলিয়ার ২০টি ব্লকের ২০টি স্কুল-কলেজে প্যান্ডেল বাঁধা-সহ অন্যান্য কাজের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে প্রশাসন। ২ জুলাই নির্বাচন হতে যাচ্ছে ভেবে, কয়েকটি স্কুল-কলেজ আবার ক’দিন আগে থেকেই ছুটি দেওয়া হয়। কিছু কলেজে ভর্তির কাজও এ জন্য বিঘ্নিত হচ্ছে।
মানবাজার আরএমআই হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক শম্ভুনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের স্কুলে স্ট্রংরুম করা হচ্ছে। তাই ২০ জুন থেকে আমাদের স্কুল বন্ধ। ভোটপর্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।” একই অবস্থা বান্দোয়ান এ এন ঝা হাইস্কুলেও। এই স্কুলের প্রধানশিক্ষক রামসুধা বন্দোপাধ্যায় বলেন, “২১ জুন থেকে আমরা স্কুলে ছুটি দিয়েছি। তবে, ভোট পিছিয়ে যাওয়ায় কিছুদিন স্কুল খোলার জন্য বিডিও-র কাছে অনুমতি চেয়েছি।” বরাবাজারের বিক্রম টুডু মেমোরিয়াল কলেজে পড়ুয়াদের ক্লাস বন্ধ রয়েছে বেশ কিছু দিন ধরে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আশিস নায়েকের কথায়, “ভোটের জন্য কলেজের ছাত্রছাত্রীদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। তবে ছাত্র ভর্তির জন্য অফিস খোলা থাকলেও কেউ আসছেন না।” সিধো কানহো বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নচিকেতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ভোটের প্রস্তুতির জন্য চারটি কলেজ নিয়েছে প্রশাসন। ওই কলেজগুলিতে ভর্তির সময় পিছিয়ে যাওয়ায় ক্লাসের সংখ্যাও কমে যাবে।” |