|
|
|
|
পণের দাবি,খড়্গপুরে বিয়ে ভাঙলেন পাত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
বিয়ের আসরে বকেয়া পণের দাবিতে ‘উন্মত্ত’ আচরণ শুরু করেছিল পাত্রপক্ষ। হাবভাব দেখে বিয়েই ভেস্তে দিলেন পাত্রী। জানিয়ে দিলেন, তিনি ওই পাত্রকে বিয়ে করবেন না। ঘটনাটি খড়্গপুর শহরের বারবেটিয়ার। ঘটনার জেরে সোমবার রাতে এলাকায় চাঞ্চল্যও ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল পুলিশ। স্থানীয় কাউন্সিলর বেলারানি অধিকারীর বক্তব্য, “পাত্রপক্ষের লোকেরা অন্যায় আচরণ করছিলেন। নোংরামি করছিলেন। বাধ্য হয়েই আমি পুলিশে খবর দিই।” যদিও মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত খড়্গপুর টাউন থানায় লিখিত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার গভীর রাতেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। পাত্রীর বাড়ি বারবেটিয়ায়। পাত্রের বাড়ি জামশেদপুরের প্রমোদনগরে। ওই দিন সন্ধ্যাতেই পাত্রপক্ষের লোকজন পাত্রীর বাড়িতে পৌঁছন। বিয়ের সব আয়োজনই সেরে রাখা হয়েছিল। আচমকাই, পাত্রপক্ষের লোকেদের সঙ্গে পাত্রীর পরিবারের লোকেদের বচসা শুরু হয়। কেন? স্থানীয় সূত্রে খবর, পাত্রপক্ষের লোকেরা বকেয়া পণের দাবি করেন। তাঁদের বক্তব্য, আগে পণের সমস্ত কিছু বুঝিয়ে দিতে হবে। না-হলে বিয়ে হবে না। অভিযোগ, পাত্রপক্ষের কয়েকজন মদ্যপ ছিলেন। তাঁরাও উন্মত্ত অবস্থায় বচসায় জড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় মারামারি। প্রহৃত হন পাত্রীর বাবা। তাঁকে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এরপর ক্রমে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। এ সব দেখে পাত্রী জানিয়ে দেন, তিনি বিয়ে করবেন না। পরিচিতদের কাছে তাঁর প্রশ্ন, “যে পরিবারের লোকেরা বিয়েবাড়িতে এসে গোলমাল করে, অন্যায় দাবি করে, সেই বাড়িতে আমি যাব কেন?” শেষমেশ, বিয়েই ভেস্তে যায়। খড়্গপুর টাউন থানার আইসি অরুণাভ দাস বলেন, “বারবেটিয়ায় একটা গোলমাল হয়েছে। অভিযোগ এলে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।” |
|
|
|
|
|