|
|
|
|
তৃণমূলে আর এক বাম প্রার্থী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দাঁতন |
একই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আবারও এক বাম প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দিলেন। প্রচারপত্র বিলি করে ভোট থেকে সরেও দাঁড়ালেন রমেশ দাস নামে দাঁতন ১ ব্লকের চকইসমাইলপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সাতষণ্ডা বুথের ওই সিপিএম প্রার্থী। সোমবার এলাকায় প্রচারপত্র বিলি করার পর মঙ্গলবার মাটিবিরুয়াঁ বাজারে তৃণমূলের এক প্রচার সভায় কয়েকজন অনুগামী-সহ তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁর বক্তব্য, “সিপিএমে থেকে এলাকার উন্নয়ন করার সুযোগ বেশি নেই। তাই তৃণমূলে যোগ দিলাম।”
প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই নিমপুর বুথে বাম সমর্থিত নির্দল প্রার্থী পূর্ণচন্দ্র নায়েক একই ভাবে প্রচার পত্র বিলি করে দল থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছিলেন। সিপিএমের দাঁতন জোনাল কমিটির সম্পাদক অনিল পট্টনায়কের দাবি, “কয়েক দিন ধরেই তৃণমূলের বাইকবাহিনী এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকায় প্রার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করলে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হবে বলেই আপাতত আত্মরক্ষার জন্য রমেশবাবু প্রচার পত্র বিলি করেছেন। উনি ভোটে জিতবেনও।” অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বিক্রম প্রাধনের কটাক্ষ, “আত্মসম্মান রক্ষা করতে সিপিএম ওই কথা বলে নিজেরাই নিজেকে সান্ত্বনা দিচ্ছে।”
এ দিকে, মোহনপুরে পঞ্চায়েত সমিতির একটি আসনের বাম সমর্থিত নির্দল প্রার্থী যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। ঈশানী শিট নামে মোহনপুর ব্লকের তনুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ওই প্রার্থী মঙ্গলবার মোহনপুরের তনুয়া বাজারে তৃণমূলের দুই বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র ও শ্রীকান্ত মাহাতোর দলীয় প্রচার সভায় যোগ দেন। সভাতেই ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন তিনি। তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে প্রচারপত্রও বিলি করেন ঈশানীদেবী। তাঁর স্বামী পেশায় শিক্ষক ও সিপিআই দলের সদস্য অনন্ত শিট আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। ঈশানীদেবীর বক্তব্য, “আমার ইচ্ছে না থাকলেও বাম নেতারা এক রকম জোর করেই আমাকে ভোটে দাঁড় করান। ওই নেতাদের কাজকর্মে হতাশ হয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” সিপিআই বিধায়ক অরুণ মহাপাত্র অবশ্য বলেন, “ওই প্রার্থী ও তাঁর পরিবারকে বারবার হুমকি দিয়েছে তৃণমূল। কখনও বাড়ি ঘেরাও করে আবার কখনও বা প্রকাশ্যে হেনস্থা করা হয়েছে ওই প্রার্থীর স্বামীকে। পুলিশও কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় আতঙ্কিত হয়েই উনি দলবদল করেছেন।” প্রসঙ্গত, মোহনপুর ব্লকে গ্রাম পঞ্চায়েতের ষাট শতাংশ ও পঞ্চায়েত সমিতির তেত্রিশ শতাংশ আসনে বিরোধী প্রার্থী নেই। বাম প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারও তেমন জোরালো নয়। অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রদীপ পাত্র বলেন, “জনসমর্থনের অভাবে বিরোধীরা লড়াইয়ের ময়দানে নেই। বামেদের ভবিষ্যৎ নেই বুঝে ওরা নিজে থেকেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।” |
|
|
|
|
|