ধর্ষণে বাধা পেয়ে গায়ে অ্যাসিড ঢেলে এক গৃহবধূকে খুনের অপরাধে এক যুবককে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিল চন্দননগর আদালত।
সম্প্রতি আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক আরতি শর্মা রায় মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের বাসিন্দা হরিমোহন মণ্ডল ওরফে বিলার বিরুদ্ধে ওই রায় দেন। ১০ বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাবাসের সাজা শোনান বিচারক। ২০০৪ সালের পয়লা মার্চ ভোরে ঘটনাটি ঘটেছিল মানকুণ্ডু পালপাড়ায়। বিলা রাজমিস্ত্রির কাজ করত। সেই সূত্রেই মানকুণ্ডুতে থাকত।
পুলিশ ও আদালত সূত্রের খবর, ভোরে প্রাতঃকৃত্য সারতে বাড়ি থেকে বের হন পারুল মণ্ডল নামে ওই গৃহবধূ। তাঁর স্বামী স্বপনবাবু ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। বিলা বাড়ির বাইরে লুকিয়ে ছিল। পারুলদেবী ঘর থেকে বেরোতেই বিলা তাঁর উপরে চড়াও হয়। ধর্ষণের চেষ্টা করে। মহিলা তাতে বাধা দেন। সঙ্গে আনা অ্যাসিড মহিলার গায়ে ঢেলে দেয় ওই যুবক। যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকেন পারুলদেবী। স্বামী, পড়শিরা বেরিয়ে আসেন। বেগতিক বুঝে বিলা গা-ঢাকা দেয়। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই বধূকে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভদ্রেশ্বর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ওই থানার তৎকালীন ওসি দেবাশিস চক্রবর্তী তদন্ত শুরু করেন। মহিলার জবানবন্দি নেয় পুলিশ। দিন চারেক পরে হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। বিলার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ।
প্রথমে অবশ্য বিলাকে গ্রেফতার করতে পারেননি তদন্তকারীরা। সে পালিয়ে যায়। ২০০৮ সালের ১০ মার্চ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। এর বছরখানেক পরে মুর্শিদাবাদ থেকে বিলা গ্রেফতার হয়। আদালত তার জামিন নাকচ করে দেয়। শুনানির পরে বিলাকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক আরতি শর্মা রায়।
|