তৃতীয় শ্রেণির বালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে বছর আঠেরোর এক তরুণকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চাঁপদানিতে। ধৃতের নাম দীপক চৌধুরী। তার বাড়ি কৃষ্ণনগরে। সেখানে সে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করে। দিন কয়েক আগে চাঁপদানিতে দিদির বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল দীপক। নয় বছরের মেয়েটি পাশেই থাকে।
পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে মেয়েটির বাবা জানিয়েছেন, রবিবার সন্ধ্যায় দীপকের দিদি-জামাইবাবু তাঁদের ছেলেকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে যান। দীপক বাড়িতে একাই ছিল। সে সময়ে তাঁর মেয়ে ওই বাড়িতে যায়। অভিযোগ, মেয়েটিকে জলের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে খাইয়ে দেয় দীপক। মেয়েটি আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে তাকে ধর্ষণ করে। মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। বাড়ি ফিরে ঘটনা জানায় বাবা-মাকে। সোমবার রাতে মেয়েটির বাবা ভদ্রেশ্বর থানায় এফআইআর করেন। রাতেই দীপককে ধরা হয়। চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে মেয়েটিকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠায় পুলিশ। সেখানে অভিযুক্ত তরুণেরও ডাক্তারি পরীক্ষা হয়। মঙ্গলবার চন্দননগর আদালতে তোলা হলে ধৃতকে ১৪ দিন জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
অন্য একটি ঘটনায়, সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে তার গৃহশিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটে দিন পনেরো আগে, আরামবাগের পশ্চিম হোড়পুর গ্রামে। কিশোরীর বাবা থানায় অভিযোগ করেন মঙ্গলবার। বুধবার অর্ধেন্দুবিকাশ দে নামে ওই গৃহশিক্ষককে ধরে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৫ জুন সন্ধ্যায় ছাত্রীর বাড়িতে পড়াতে গিয়েছিল অর্ধেন্দু। মেয়েটি একাই ছিল বাড়িতে। অভিযোগ, সে সময়ে মেয়েটির শ্লীলতাহানি করে সে। ধৃতের দাবি, মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে।
|
বালির নিশ্চিন্দায় স্ত্রীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, সমবায় পল্লির বাসিন্দা দীপ্তেন্দু দত্তের সঙ্গে পাঁচ বছর আগে হিন্দ মোটরের বাসিন্দা মীনাক্ষীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই মীনাক্ষীর উপরে অত্যাচার চলছিল। সোমবার রাতে দীপ্তেন্দু মদের বোতল ভেঙে স্ত্রীর পেটে ঢুকিয়ে দিতে যান বলে অভিযোগ। মীনাক্ষী জানান, প্রাণ বাঁচাতে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তার পরে তাঁকে আর ঘরে ঢুকতে দেননি তাঁর স্বামী। |