|
|
|
|
বিধানসভার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বিশেষ অধিবেশন ত্রিপুরায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
বিরোধী দলের যুক্তিপূর্ণ গঠনমূলক সমালোচনায় গণতান্ত্রিক কাঠামো সুরক্ষিত, সম্প্রসারিত হয় বলে মনে করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। গতকাল রাজ্য বিধানসভার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে বিশেষ অধিবেশনে এ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
১৯৬৩ সালের ১ জুলাই, ত্রিপুরা আঞ্চলিক পরিষদ রাজ্য বিধানসভায় পরিবর্তিত হয়। ওই দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে বিধানসভা ভবনে একটি ফটো গ্যালারির উদ্বোধন করেন মানিকবাবু। মন্ত্রী তপন চক্রবর্তী তাঁর বক্তব্যে জানান, কী ভাবে ১৯৪৮ সালে রাজ-শাসিত ত্রিপুরাকে ভারতের অন্তর্ভুক্তকরা হয়। আনুষ্ঠানিক ভাবে ১৯৪৯ সালের ১৫ অক্টোবর ভারতের অঙ্গরাজ্যে হিসেবে চিহ্নিত হয় ত্রিপুরা। পরবর্তী কালে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির জন্য নির্বাচিত আঞ্চলিক পরিষদ (টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল) গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। |
সুবর্ণ জয়ন্তীতে আলোয় সেজেছে ত্রিপুরার বিধানসভা ভবন। ছবি: পিটিআই। |
১৯৫৭ সালে দেশে দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচনের সময়ে ত্রিপুরার আঞ্চলিক পরিষদের ভোট হয়েছিল। ওই ভোটের মাধ্যমে ৩০ সদস্যের ত্রিপুরা আঞ্চলিক পরিষদ গঠন করা হয়। পরিষদের চেয়্যারম্যান নিযুক্ত হয়েছিলেন কংগ্রেসের শচীন্দ্রলাল সিংহ।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ত্রিপুরায় রাজ-শাসন থেকে গণতান্ত্রিক কাঠামোয় বদল যেমন জটিল তেমনই বৈচিত্রপূর্ণ। একে কোনও একটি দলের সাফল্য বলে চিহ্নিত করা যাবে না। পাকিস্তানের পরিবর্তে ভারতভুক্তির ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন ত্রিপুরার শেষ রাজা। এটা ঐতিহাসিক সত্য।”
বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের রতনলালের কথায়, ‘‘রাজ্যে সংসদীয় গণতন্ত্র স্থাপনে দিনটি স্মরণীয়।’’ ত্রিপুরায় সকলের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় কংগ্রেস, সিপিএম-এর সঙ্গে টিইউজিএস, আইএনপিটি, জিএমপি দলগুলিরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বর্তমান বিধানসভায় সিপিএমের বিধায়ক সত্তরোর্ধ্ব নিরঞ্জনবাবু বলেন, ‘‘রাজ্যে জাতি-উপজাতি ঐক্য, সম্প্রীতি রক্ষায় এবং শিক্ষার সম্প্রসারণে ত্রিপুরার উপজাতিদের ভূমিকাও ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। |
|
|
|
|
|