|
|
|
|
উড়ানের ছাড়পত্র পেতে বৈঠক |
বিমানে মুম্বই থেকে দিল্লি, পাইলট রতন টাটা
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
পাইলটের আসনের ঠিক পিছনে বসেছেন এয়ার এশিয়ার কর্ণধার টোনি ফার্নান্ডেজ। সহাস্য তিনি অঙ্গুলিনির্দেশ করছেন প্রবীণ পাইলটের দিকে। মঙ্গলবার টুইটারে ওই ছবিটা পোস্ট করার সময় ফার্নান্ডেজ লিখেছেন, “আমার নতুন পাইলট, স্যার রতন টাটা আমাকে দিল্লি উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এটাও এয়ার এশিয়ার খরচ কমানোর একটা উপায়। সংস্থার উপদেষ্টা নিজেই এক জন পাইলট।”
এয়ার এশিয়া, টাটা গোষ্ঠী ও টেলস্ট্রা ট্রেডপ্লেসের যৌথ উদ্যোগে উড়ান শুরুর তোড়জোড় করছে নতুন বিমানসংস্থা ‘এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়া’। তার ছাড়পত্রের বিষয়ে মঙ্গলবার দিল্লি এসে বিমানমন্ত্রী অজিত সিংহের সঙ্গে বৈঠক করেন রতন টাটা, টোনি ফার্নান্ডেজ এবং সংস্থার অন্য কর্তারা। যে বিমানে তাঁরা দিল্লি আসেন, তার পাইলটের আসনে ছিলেন টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান এমিরেটাস স্বয়ং। ফার্নান্ডেজ ছাড়াও ওই বিমানে আসেন এয়ার এশিয়ার দুই শীর্ষ কর্তা ডাটো কামারুদিন এবং মিট্টু চান্ডিল্য (এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়ার সিইও)। |

চালকের আসনে। এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়ার উপদেষ্টা রতন টাটা মুম্বই
থেকে
দিল্লি যাওয়ার পথে নিজেই বসে পড়েন ককপিটে। পিছনে
এয়ার এশিয়ার
সিইও টোনি ফার্নান্ডেজ। মঙ্গলবার।ছবি: পিটিআই। |
৭৬ বছরের রতন নভল টাটা যে এখনও প্রায়ই ককপিটে বসে পড়েন, এটা কোনও নতুন খবর অবশ্য নয়। এই সে দিন অবধিও তিনি ‘এয়ারো ইন্ডিয়া শো’-এ দাপটে উড়িয়েছেন এফ-১৮। ইদানীং নাকি নতুন সংস্থার বিমানও মাঝেমধ্যে চালিয়েছেন। আসলে ওড়ার ঐতিহ্য তাঁর পারিবারিক। টাটা এয়ারলাইন্সের (পরে যা ‘এয়ার ইন্ডিয়া’) প্রতিষ্ঠাতা জে আর ডি টাটা ভারতের প্রথম অসামরিক বিমান সংস্থার পথিকৃৎ। জে আর ডি নিজেও ছিলেন দক্ষ পাইলট। এ দিন রতন টাটাও বিমানে চড়ার পরেই ককপিটে চালকের আসনে বসে পড়েন। পাড়ি দেন দিল্লি।
রাজধানীতে অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দে, বিমানমন্ত্রী অজিত সিংহ এবং বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী আনন্দ শর্মার সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। পরে বিমানমন্ত্রী বলেন, “এয়ার এশিয়া নো অবজেকশন সার্টিফিকেটের আর্জি জানিয়েছে। ইতিমধ্যেই চিফ এগ্জিকিউটিভ নিয়োগ করেছে তারা। পাইলটও জোগাড় করেছে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত ছাড়পত্র পেলেই তারা উড়ান শুরু করতে পারবে। আমার মনে হয় না এ সবে খুব একটা দেরি হবে।”
দ্রুত উড়ানের ছাড়পত্র মূল বিষয়বস্তু হলেও মন্ত্রীদের সঙ্গে টাটা-ফার্নান্ডেজের আজকের বৈঠকে বিমানভাড়া কমানোর বিষয়টিও ওঠে। সোমবার ফার্নান্ডেজ বলেছিলেন, “আকাশে ওড়াটা আর শুধু অভিজাত শ্রেণির জন্য নয়। বিমানভাড়া এখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আমজনতারও সাধ্যের মধ্যে। এমনকী যিনি গাড়ি চালিয়ে আমায় মালয়েশিয়া বা ইন্দোনেশিয়ার বিমানবন্দর থেকে নিয়ে যান, তিনিও আকাশে ওড়ার অভিজ্ঞতা পেতে পারেন সহজেই।” বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী আনন্দ শর্মাও মঙ্গলবারের বৈঠকে বিমানভাড়া কমানোর প্রসঙ্গে ইতিবাচক মতামত জানিয়েছেন। এয়ার এশিয়ার কর্তারা জানিয়েছেন, প্রত্যেক বছর ১০টি করে নতুন উড়ান চালু করবেন তাঁরা। শুধু মুম্বই বা দিল্লির মতো বড় বিমানবন্দরে পরিষেবা বাড়ানোর বদলে নজর দেবেন তুলনামূলক ভাবে কম যাত্রী চলাচলকারী বিমানবন্দরগুলিতে।
সব ঠিক থাকলে চলতি বছরের অক্টোবরেই ডানা মেলতে পারে এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়া। |
|
|
 |
|
|