এক কিলোমিটারের বেশি এলাকা জুড়ে মাটিতে বড় ফাটল তৈরি হওয়ায় পুরাতন মালদহের মুচিয়া গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের ডুমুরতলা, সিঙ্গাচারি, আদমপুর, নিমুয়ায় ফাটলের জেরে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা পুকুরে স্নান করতে যেতে ভয় পাচ্ছেন। খেতে কাজ করতে যেতেও আতঙ্কে ভুগছেন গ্রামবাসীরা। আম বাগানেও কেউ ফল কুড়োতে যাচ্ছেন না। আতঙ্কের কথা জেনেছে জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক গোদালা কিরণ কুমার বলেন, “কেন চারটি গ্রামে ফাটল দেখা দিয়ে দিয়েছে ও ফাটলের গভীরতা কত তা জানতে কলকাতা থেকে ভুতত্ববিদদের ডাকা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসককে ওই এলাকায় পাঠিয়ে বিস্তরিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” |
গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান উত্তম চৌধুরী বলেন, “তিন দিন আগে ডুমুরতলা গ্রামে প্রথম ফাটল দেখা দিয়েছিল। এর পর সেই ফাটল বাড়তে বাড়তে চারটি গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে।” মালদহ-বুলবুলচন্ডি রাজ্য সড়ক ধরে প্রায় ১১ কিলোমিটার পথ পেরোনোর পর বাঁ দিকে ৩-৪ কিলোমিটার কাঁচা মাটির রাস্তা পার হওয়ার পর আদমপুর গ্রাম। গ্রাম ঢুকতেই আমবাগানের মধ্যে দেখা গেল বিশাল ফাটল। কোথাও ২ থেকে ৩ ফুট চওড়া, কোথাও ৬ ফুট। ফাটল নিমুয়াকামাত, সিঙ্গাচারি, ডুমুরতলা গ্রাম পর্যন্ত। একটি লম্বা বাঁশ ফাটলের মধ্যে দিব্যি গলে যাচ্ছে।
ডুমুরতলার বাসিন্দা জয়রাম মুদি বলেন, “গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার এলাকায় প্রচণ্ড বৃষ্টি হয়েছিল। শুক্রবার আমাবাগানে গিয়ে দেখি বিশাল ফাটল দেখা দিয়েছে। ফাটল দেখতে গ্রামের সবাই আমার বাড়ির আমবাগানে ছুটে আসে।” সুবল মণ্ডল, প্রভাত সরকাররা জানান, প্রতিদিন ফাটল বাড়ছে। ফাটল টপকাতে ভয় পাচ্ছেন গ্রামবাসীরা।
ফাটলের বিষয়ে মালদহ কলেজের ভূগোলের শিক্ষক এ কে এম আনোয়ার উজ্জামান বলেছেন, “মালদহ দ্বিতীয় ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় মধ্যে অবস্থান করেছে। সুতরাং সেই কারণেও ফাটল দেখা দিতে পারে। তবে ঠিক কী কারণে ওই এলাকায় ফাটল দেখা দিয়েছে, তা খতিয়ে না দেখে বলা সম্ভব নয়।” |