পুরসভার চেয়ারম্যান তথা কংগ্রেস বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত সরকারি অনুষ্ঠানে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরি সহ একাধিক ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল কাউন্সিলরেরা। সোমবার রায়গঞ্জের বিধান মঞ্চে পুরসভার উদ্যোগে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের চারশো জন দুঃস্থ বাসিন্দাকে চশমা বিলি করা হয়। মোহিতবাবুর অভিযোগ, “মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে রাজ্য সরকার অধিগ্রহণ না করায় এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির কাজ আটকে গিয়েছে। সেই কারণে উত্তর পূর্ব ভারতের মানুষ উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। রাজ্য সরকারের গাফিলতিতে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবাও ভেঙে পড়েছে। এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরি হওয়াটা অত্যন্ত জরুরি।” মোহিতবাবুর কটাক্ষ, “খুন, ধর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। বিষমদ কান্ডে মৃতদের পরিবার এখনও ক্ষতিপূরণ পায়নি। কলকাতায় তাঁর দলেরই কর্মীদের হাতে খুন হওয়া পুলিশকর্মীর স্ত্রীকেও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এখনও তিনি চাকরি দিতে পারেননি।”
অনুষ্ঠানে ছিলেন পুরসভার বিরোধী দলনেতা রায়গঞ্জ শহর তৃণমূল সভাপতি প্রিয়তোষ মুখোপাধ্যায় ৬ এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দুই তৃণমূল কাউন্সিলর বাবুলাল চৌহান ও বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মোহিতবাবু এক ঘন্টা ধরে রাজ্য সরকারের নানা কর্মকাণ্ডের সমালোচনামূলক করার সময়ে বসে থাকতে দেখা যায় প্রিয়তোষবাবু, বাবুলালবাবু ও বরুণবাবুকে।
প্রিয়তোষবাবু বলেন, “সরকারি অনুষ্ঠানে মোহিতবাবু রাজনৈতিকমূলক বক্তব্য রাখবেন তা আগে জানলে আমরা যোগ দিতাম না। বিষয়টি দলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের পরিষদীয় সচিব অমল আচার্যকে জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা ঘটলে আমরা পুরসভার সমস্ত অনুষ্ঠান বয়কট করব” বাবুলাল ও বরুণবাবুর নালিশ, তাঁদের ডেকে অপমান করা হয়েছে।
মোহিতবাবুর বক্তব্য, “মানুষের স্বার্থে সত্যি কথাটাই বলেছি। তৃণমূল কাউন্সিলররা সরকারি অনুষ্ঠানে না এলে শহরের উন্নয়ন আটকে থাকবে না। পুরসভা উন্নয়নের কাজে কোনও রং দেখে না।” এ দিন তৃণমূল নেতা অমলবাবু বলেন, “মোহিতবাবু এখন ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চকে দলীয় কাজে ব্যবহার করছেন। কাউন্সিলররা উন্নয়নের কাজে পুরসভাকে পুরো সহযোগিতা করবেন ঠিকই। তবে মোহিতবাবু ভবিষ্যতে তাঁদের অপমান করলে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।” তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী সরকারি জমি নষ্ট করে হাসপাতাল তৈরি করার বিরোধী। |