উভয় পক্ষের আইনজীবীর উপস্থিতিতে উত্তরায়ণ-এর ‘রেসিডেন্সি’ এলাকায় অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ খতিয়ে দেখলেন আদালতের তরফে পাঠানো ‘প্লিডার কমিশনার’ মৃদুল ভৌমিক। সোমবার উত্তরায়ণ উপনগরীতে গিয়ে তিনি নির্মাণ কাজের জায়গা পরিদর্শন করেন। ছিলেন লক্ষ্মী টাউনশিপ উপনগরীর এবং মেগাবিল্ডার্স নামে যে সংস্থা কাজ করছে তাদের আইনজীবী সমীর ঘোষ ও উত্তয়ারণের রেসিডেন্সি এলাকার আবাসিকদের সংগঠনের পক্ষে থাকা আইনজীবী মিলিন্দ পাল। তা ছাড়া লক্ষ্মী টাউনশিপের তরফে উত্তরায়ণ উপনগরীর দায়িত্বে থাকা আধিকারিক দীপঙ্কর ধর, আবাসিকদের অনেকেই। প্রায় দুই ঘন্টা ধরে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে কোন জায়গায় নির্মাণ কাজ হচ্ছে তা খতিয়ে দেখেন তিনি। বহুতলের উপর থেকে প্রকল্পের জায়গা দেখে জায়গাটির খসড়া ‘স্কেচ’ করেন। মৃদুলবাবু বলেন, “আদালতের নির্দেশে যে নির্মাণ কাজ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখলাম। শীঘ্রই আদালতে রিপোর্ট দেব।”
আবাসিকদের সংগঠন উত্তরায়ণ রেসিডেন্সি অ্যাপার্টমেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে অভিযোগ করা হয়, তাদের ‘রেসিডেন্সি’ এলাকায় অ্যাপার্টমেন্টের সামনে থাকা পার্ক এবং খোলা জায়গার একাংশ অবৈধ প্রমোটার সংস্থা মেগাবিল্ডার্সের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে লক্ষ্মী টাউনশিপ কর্তৃপক্ষ। মেগা বিল্ডার্সের তরফে পার্ক এবং খোলা জায়গার ওই অংশে অবৈধভাবে নির্মাণ কাজও শুরু করা হয়েছে। গত ১৮ জুন আদালত সেখানে নির্মাণ কাজ এক মাসের জন্য স্থগিত রাখতে নির্দেশ দেয়। আবাসিকদের সংগঠনের সম্পাদক অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়, দীপক অগ্রবাল, সঞ্জয় বাজলারা জানান, আদালতের নির্দেশের পরেও কাজ বন্ধ না করে চালিয়ে যাচ্ছিলেন প্রংমোটার সংস্থা। ফের আদালতের দ্বারস্থ হলে পুলিশকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রোমোটার ও লক্ষ্মী টাউনশিপের পক্ষে আইনজীবী সমীরবাবু বলেন, “নির্মাণ কাজ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। নির্মাণ কাজের জায়গায় এ দিন আদালতের এক প্রতিনিধি ঘুরে গিয়েছেন। তাঁকে আমরা বিস্তারিত জানিয়েছি।” বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে আইনজীবী মিলিন্দবাবু জানিয়েছেন, যেখানে পার্ক এবং খোলা জায়গা ছিল সেখানে নির্মাণ কাজ হচ্ছে। কোথায় কোন অংশে পার্ক, খোলা জায়গা ছিল তা আদালতের প্লিডার কমিশনারকে দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। একটি রাস্তা অবৈধভাবে নির্মাণ করে সীমানা পাঁচিল দিয়ে দেওয়া হয়েছে। দীপঙ্করবাবু জানান, বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেই রাস্তাটি তৈরি হয়েছিল। |