টুকরো খবর
জমি নিয়ে অশান্তি
জমি নিয়ে অশান্তি ঠেকাতে সোমবার বিতর্কিত জমিতে অবস্থানে বসা এক পক্ষকে সরিয়ে দিল বান্দোয়ান থানার পুলিশ। বান্দোয়ান হাট সংলগ্ন একটি জমি নিয়ে ওই থানার কাশবহাল গ্রামের বাসিন্দা মহাদেব মাহাতোর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছে বান্দোয়ানের বাসিন্দা সুব্রত নাগের পরিবারের। বিতর্ক আদালতেও গড়িয়েছে। দু’পক্ষই দাবি করছে জমিটি তাদের। মহাদেববাবুর অভিযোগ, “ওই জমিতে বান্দোয়ান বাজারের বাসিন্দার পরিবার জোর করে নির্মাণকাজ চালাচ্ছিল। আমরা প্রথমে পুলিশে জানাই। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমরা পরিবারের সদস্যেরা মিলে শনিবার থেকে ওই জমিতে অবস্থানে বসি। রবিবার পুলিশ লাঠি চালিয়ে আমাদের সরিয়ে দেয়। লাঠির আঘাতে আমাদের বাড়ির এক মহিলা-সহ দু’জন জখম হয়েছে। সোমবার ফের অবস্থানে বসতে গেলে পুলিশ জোর করে আমাদের সরিয়ে দেয়।” পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার সি সুধাকর অবশ্য বলেন, “ব্যবস্থা না নেওয়া বা লাঠি চালানোর অভিযোগ ঠিক নয়। ওই জমি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিবাদ অনেক দিনের। তা নিয়ে আইনি লড়াইও চলছে। পুলিশ অশান্তি এড়াতে ওখানে বসে থাকা এক পক্ষকে সরিয়ে দিয়েছে।” সুব্রত নাগের দাবি, “হাটসংলগ্ন ওই জমির মালিকানা সংক্রান্ত নথিপত্র আমাদের কাছে আছে। ওই জমিতে আমাদের বেড়া ভেঙে টিন তুলে অন্য পক্ষই জবরদখল করার চেষ্টা করছিল।”

রূপসী বাংলার যাত্রাপথের বদল, বিক্ষোভ
রূপসী বাংলা ট্রেনটির যাত্রাপথ সঙ্কুচিত করার প্রতিবাদে সোমবার পুরুলিয়া স্টেশনে যৌথ ভাবে বিক্ষোভ দেখাল এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই। এ দিন বিকেলে রূপসী বাংলা ট্রেনটি পুরুলিয়া স্টেশন থেকে হাওড়ার দিকে রওনা দেওয়ার আগে কিছুক্ষণের জন্য ট্রেনটিকে অবরোধ করে রাখেন দুই সংগঠনের সদস্য-সমর্থকেরা। এসএফআইয়ের জেলা সভাপতি গৌরব সিংহের অভিযোগ, “পুরুলিয়া থেকে হাওড়া যাওয়ার মাত্র দু’টি এক্সপ্রেস ট্রেন রয়েছে। অথচ রেল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছেন, আগামী ১৫ জুলাই থেকে এই ট্রেনটি পুরুলিয়া থেকে হাওড়ার বদলে সাঁতরাগাছি অবধি যাবে। পর দিন সকাল ছ’টায় ফের সাঁতরাগাছি থেকে ট্রেনটি পুরুলিয়ার উদ্দেশে রওনা দেবে।” দুই বাম সংগঠনের বক্তব্য, এত সকালে হাওড়ার বদলে সাঁতরাগাছি থেকে পুরুলিয়া ফেরার জন্য এই ট্রেন ধরার ক্ষেত্রে যাত্রীদের প্রচণ্ড অসুবিধা হবে। এই ঘটনাকে পিছিয়ে পড়া পুরুলিয়ার প্রতি ‘রেল কর্তৃপক্ষের বঞ্চনা’ বলেও অভিযোগ তুলেছে তারা। অবিলম্বে এই ঘোষণা বাতিলের দাবিতে এ দিন সংগঠনের পক্ষ থেকে স্মারকলিপিও দেওয়া হয় বলে জানান ডিওয়াইএফআইয়ের জেলা সভাপতি বিমলেন্দু কোনার। পুরুলিয়ার স্টেশন ম্যানেজার শ্যামাপ্রসাদ মজুমদার জানিয়েছেন, স্মারকলিপি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

মৃত্যুতেও রাজনীতি
শ্বাসকষ্টের সমস্যায় মারা গিয়েছিলেন এক বর্ষীয়ান তৃণমূল কর্মী। তাঁর দেহ নিয়ে পরিজনদের সঙ্গে শ্মশানের পথে হাঁটা দেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রার্থী ও তাঁর দলের কর্মীরা। খবর পেয়ে মাঝপথে এসে মৃতদেহ কাঁধে তুলে নেন পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী। শনিবার সন্ধ্যায় মানবাজারের মাইতিপাড়ার তৃণমূল কর্মী বিধান মজুমদারের দেহ নিয়ে এমনই ‘টানাটানি’ হল। শেষমেশ নির্বিঘ্নেই অন্ত্যেষ্টি হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা অপূর্ব সিংহের অভিযোগ, “বিধানবাবু আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ওই বুথে আমাদের দলের প্রার্থী টুটু চট্টোপাধ্যায়ের সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিলেন তিনি। সিপিএম নেতা-কর্মীরা সামাজিকতা দেখানোর নাম করে এখানেও রাজনীতি করার চেষ্টা করছিলেন।” সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য মানবাজারের বাসিন্দা প্রদীপ চৌধুরীর দাবি, “বিধানবাবু আমাদের পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর দেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার সময় আমরা স্বাভাবিক ভাবে তাঁর পাশে ছিলাম। এর মধ্যে রাজনীতির কিছু নেই। তৃণমূলের লোকেরাই বরং মাঝরাস্তায় জোর খাটিয়ে তাঁর দেহ নিজেদের কাঁধে তুলে নেন।” বিধানবাবুর ছেলে সুকান্ত অবশ্য বলেছেন, “সবাই বাবার শুভাকাঙ্ক্ষী। তাঁরা শ্মশানে হাজির ছিলেন। আলাদা করে কাউকে ডাকা হয়নি।”

ফাঁসল গাড়ি, দায়ী বাম
বৃষ্টি মাথায় নিয়েই বাঁকুড়া-১ ব্লকের আন্ধারথোলে রবিবার বিকেলে প্রচারে গিয়েছিলেন তৃণমূলের জেলা কো-চেয়ারম্যান তথা জেলা পরিষদের প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী। লালমাটির কাদা রাস্তায় তাঁর গাড়ি এমন ফাঁসান ফাঁসল যে, তৃণমূলকর্মীরা ঠেলেঠুলেও গাড়ি নড়াতে পারলেন না। ট্রাক্টর দিয়ে টেনে তোলার চেষ্টাও ব্যর্থ হল। অগত্যা রাতভর গাড়িটি ওই অবস্থাতেই ফেলে জেসিবি মেশিনের খোঁজ শুরু করলেন অরূপবাবু। সোমবার বিকেল পর্যন্ত হন্যে হয়ে খুঁজেও জেসিবি মেশিন জোগাড় করা গেল না। সোমবার প্রচারে বেরিয়ে তাই অরূপবাবুর কপালে চিন্তার ভাঁজ। বিঁধলেন বাম শিবির ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। বললেন, “বামেদের অনুন্নয়নের জন্যই গ্রামে রাস্তাঘাট হয়নি। তাই বর্ষায় চলাফেরা করাটাই দায়। অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের একগুঁয়েমিতে ভোট বর্ষা পর্যন্ত গড়িয়ে গেল, সব মিলিয়ে এই কাদায় ফেঁসে আমাদেরই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বর্ষায় ভোট করাটা কি ঠিক হল?” ঘটনা হল, বর্ষায় তো ভুগছে সব দলই। কিন্তু, বোঝাবে কে!
এ দিন সন্ধ্যায় তৃণমূল নেতার গাড়ি তোলা সম্ভব হয়েছে।

গোবর লেপা
ভোটে বিরোধীদের ঠেকাতে গোবর হাতে নেমে পড়েছে তৃণমূল, বড়জোড়া ব্লকের সিপিএম নেতারা এমনই অভিযোগ করেছেন। সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা কমিটির সদস্য সুজয় চৌধুরীর অভিযোগ, “রাতের অন্ধকারে আমাদের দেওয়াল লিখন গোবর লেপে মুছে দিচ্ছে তৃণমূল। বড়জোড়ার মালিয়াড়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে ও পুলিশকে লিখিত ভাবে বিষয়টি জানিয়েছি।” তৃণমুলের বড়জোড়া ব্লক সভাপতি জহর বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর পাল্টা বক্তব্য, “অতীতে সিপিএমই এই ধরনের কাজ করত। আমরা ও-সব করি না।” সিপিএমকে উদ্দেশ্য করে জহরবাবুর কটাক্ষ, “জেনে রাখো সিপিএম, গোবর নয়, তোমাদের বিরুদ্ধে উন্নয়নই আমাদের হাতিয়ার!”

ভোট স্থগিত
এক প্রার্থীর মৃত্যুতে মানবাজার থানার ভালুবাসা গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধামাধবপুর বুথে পঞ্চায়েত স্তরে ভোট স্থগিত হয়ে গেল। প্রশাসন সূত্রের খবর, ভালুবাসা পঞ্চায়েতের রাধামাধবপুর গ্রামের বাসিন্দা কর্ণ কালিন্দী তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন। কয়েকদিন ধরে অসুস্থ কর্ণবাবুর মানবাজার গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিত্‌সা চলছিল। শনিবার বিকেলে তাঁর মৃত্যু হয়। মানবাজারের বিডিও সায়ক দেব বলেন, “রাধামাধবপুর বুথের ওই প্রার্থীর মৃত্যুতে ওই বুথের পঞ্চায়েত স্তরের ভোট স্থগিত রাখা হয়েছে। ওই বুথে পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের ভোট নির্বাচনের নির্ঘণ্ট অনুযায়ী হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.