মহিলাকে কটূক্তি, ধৃত পুলিশকর্মী
নিজস্ব সংবাদদাতা • হাড়োয়া |
অটোয় কে কোথায় বসবে, তা নিয়ে গোলমাল। অটোর যাত্রী পুলিশ কর্মীটি সহযাত্রী শিক্ষিকাকে কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ। শিক্ষিকা ছাড়ার পাত্রী নন। তাঁর স্বামীও কাজ করেন পুলিশে। মহিলার অভিযোগ পেয়ে শেষমেশ গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর সহযাত্রী পুলিশ কর্মীকে। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ায়। নন্দিতা পাল (দেবনাথ) নামে ওই মহিলা হাড়োয়ার সফিক আহমেদ গার্লস স্কুলের শিক্ষিকা। বাড়ি গোবরডাঙায়। প্রতিদিনের মতোই হাসনাবাদ লোকাল ধরে এ দিন নেমেছিলেন ভাসিলা স্টেশনে। চেতলা থানার এএসআই অজয় দাসের বাড়ি ওই এলাকাতেই। তিনিও ডিউটি সেরে হাসনাবাদ লোকালে নামেন ভাসিলায়। নন্দিতাদেবীর দাবি, অটোয় কে কোথায় বসবেন তা নিয়ে বচসা বাধে অজয়বাবুর সঙ্গে। চালকের অনুরোধে নন্দিতাদেবী সামনের সিটে বসেন। পিছনে বসে অজয়বাবু তাঁকে নানা কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ। হুমকিও দেন, পুরুষ হলে ‘দেখে নিতেন’। নন্দিতাদেবীর স্বামী সুজয় দেবনাথ কলকাতা পুলিশের সার্জেন্ট। অটোতে বসেই তাঁকে ফোন করেন নন্দিতা। স্বামী হাড়োয়া থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দেন। হাড়োয়া বাজারে নন্দিতাদেবী ও অজয়বাবু দু’জনেই নামেন। অজয়বাবুকে থানায় যেতে বলেন ওই শিক্ষিকা। ফের বচসা বাধে দু’জনের। ওসি সুমিত মণ্ডল পরিস্থিতি সামাল দেন। পরে নন্দিতাদেবীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অজয়বাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।এলাকার লোকজনের দাবি, পুলিশ কর্মী হওয়ার সুবাদে লোক জনের সঙ্গে খুবই দুর্ব্যবহার করেন অজয়বাবু। নন্দিতাদেবী বলেন, “অটো থেকে নেমে আমাকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।” অজয়বাবুর অবশ্য দাবি, “আমি আগে জায়গা রেখেছিলাম অটোতে। ওই মহিলাকে অন্য আসনে বসতে বলি। এটাই আমার অপরাধ। বাকি সবই মিথ্যা অভিযোগ।” অজয়বাবুর সহকর্মীরাও ঘটনা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। |
গৃহবধূকে গণধর্ষণের চেষ্টা, মারধর
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাকদ্বীপ |
এক বধূকে গণধর্ষণের চেষ্টা ও মারধরের অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে কাকদ্বীপের লক্ষীনারায়নপুর গ্রামে। দুষ্কৃতীদের হামলায় জখম ওই বধূর চিকিৎসা চলছে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ জনা চারেক দুষ্কৃতী মহিলার বাড়িতে চড়াও হয়। বাড়িতে একা ছিলেন তিনি। অভিযোগ, তারা তাঁকে মারধর করার পরে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বধূর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা বধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। রবিবার রাতেই কাকদ্বীপ থানায় বধূর স্বামী অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই বধূর দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
|
একটি পাইপগান ও দু’রাউন্ড গুলি-সহ এক দুষ্কৃতীকে রবিবার রাতে গোবরডাঙা রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করল হাবরা থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম সমীর বিশ্বাস। বাড়ি এয়ারপোর্ট থানার শরৎ পল্লিতে। ডাকাতির অভিযোগে এয়ারপোর্ট থানা তাকে আগে একবার গ্রেফতারও করেছিল। |