অবরোধ তুলতে ট্রেন থেকে নেমে পড়লেন যাত্রীরাই। বেশি নয়, সংখ্যায় মাত্র তিন জন। তাতেই কাজ হল। একপ্রস্থ ধস্তাধস্তির পরে উঠল অবরোধ। সোমবার সন্ধে ৬টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখার সংহতি স্টেশনে। রেল পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত মাসে আত্মহত্যা করেন হাবরা থানা এলাকার মিঠু বারুই নামে এক কলেজ ছাত্রী। নিরঞ্জন হালদার নামে স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ আনেন মিঠুর বাবা নির্মলবাবু। পরে আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্ত যুবক। এ দিকে, মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ নির্মলবাবুর। পুলিশ সে ব্যাপারে পদক্ষেপ করেনি বলেও তাঁর অভিযোগ। তারই প্রতিবাদে এ দিন রেললাইনে বেঞ্চ পেতে অবরোধ শুরু করেন সলুয়া, খুলনাপাড়ার কিছু মানুষ। আটকে পড়ে আপ ও ডাউন লাইনের ট্রেন। দাঁড়িয়ে থাকা আপ বনগাঁ লোকালের তিন যাত্রী নেমে অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানান। তাঁদের সঙ্গে অবরোধকারীদের ধস্তাধস্তি বাধে। যদিও দ্রুত সম্বিত ফেরে জনতার। সাড়ে ৬টা নাগাদই অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। এর আগে দত্তপুকুরেও অসুস্থ ছেলেকে কোলে নিয়ে একাই অবরোধকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন এক বাবা। সেই একক প্রতিরোধের সামনেও পিছু হঠতে হয়েছিল অবরোধকারীদের। |