ক্যানিংয়ে চলন্ত বাস থামিয়ে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র-কার্তুজ-সহ দুই অস্ত্রপাচারকারীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার বাসন্তী-জামতলা রুটে একটি বাস থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মহম্মদ সেলিম খান ও সামিম খান নামে ধৃত দু’জনের কাছ থেকে আটটি ওয়ান শটার, একটি নাইনএমএম পিস্তল, ৪৭ রাউন্ড গুলি, ২টি ম্যাগাজিন ও পাঁচ কেজি বোমা তৈরির মশলা উদ্ধার হয়েছে। ধৃত দু’জনের বাড়ি যথাক্রমে রবীন্দ্রনগর থানার আক্রা ফটক নয়াবস্তি ও খালধারি রোড এলাকার নাদিয়ালে। |
পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগে এই পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ প্রশাসন। ভোটে গোলমাল পাকানোর উদ্দেশ্যেই এই সব অস্ত্র আনা হচ্ছিল বলে পুলিশের অনুমান। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠি বলেন, “ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে। ক্যানিং থেকে কুলতলি এলাকায় ওই অস্ত্র পাচার করা হচ্ছিল বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে।” |
ধৃত সামিম খান ও মহম্মদ সেলিম খান। |
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন বাসন্তী-জামতলা রুটের একটি বাসে আগ্রেয়াস্ত্র পাচার করা হচ্ছে তাঁদের কাছে খবর আসে। এর পরেই ক্যানিং থানার ওসি পার্থসারথি ঘোষের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী নিকারিঘাটা এলাকার তালতলা মোড়ের কাছে ওত পেতেছিল। বাসটি সেখানে পৌঁছতেই তাতে তল্লাশি চালিয়ে ওই সব আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ সেলিম খান ও সামিম খানকে। বাসের কন্ডাক্টর চিরঞ্জিত সিংহ পুলিশকে বলেন, “সকাল সাতটা নাগাদ বাসন্তী থেকে বাসটি ছাড়ে। পথে ক্যানিং বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে ওঠে ধৃতেরা। তাদের কাছে দুটো কালো রঙের স্কুলব্যাগ ছিল। দু’জনেই কুলতলির পিছাখালি এলাকার টিকিট কাটে। |
যে বাস থেকে উদ্ধার হয় অস্ত্র।
|
প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছে, মহম্মদ সেলিম বছর দুয়েক ধরে অস্ত্র বিক্রির কারবার করছেন। বিহারের মুঙ্গের থেকে ওই অস্ত্র উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করেন। দেড় হাজার টাকায় ওয়ান শটার কিনে তা সাড়ে তিন হাজার টাকায় বিক্রি করেন। ১৫ হাজার টাকায় নাইন এম এম পিস্তল কিনে তা ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন বলে জেরায় জানিয়েছে সেলিম বলে তদন্তকারীদের দাবি। এদিন দু’জনকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। কুলতলি এলাকায় কোথায় অস্ত্র বিক্রি করতে এসেছিল ধৃতরা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই অস্ত্র কাদের কাছে পৌঁছনো হচ্ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। |