ভোট পিছনোয় তৃণমূলের নতুন প্রচার কর্মসূচি
ভোটের দিন পিছনোয় মহা সমস্যায় পড়েছে তৃণমূল। ২ জুলাই ভোট ধরে প্রচার কর্মসূচি ঠিক করেছিল তারা। সেই মতো রবিবার প্রচারের শেষ দিন ধরে নিয়ে ব্লকে ব্লকে মিছিল-কর্মিসভা-জনসভার প্রস্তুতি হয়েছিল। ভোট পিছিয়ে ১১ জুলাই হয়ে যাওয়ায় নতুন করে প্রচার কর্মসূচি তৈরি করতে হয়েছে। এ দিকে, গত দু’সপ্তাহ টানা প্রচার করে দলীয় কর্মীদের একাংশের দম ফুরিয়েছে। ক্লান্ত কর্মীরা নতুন কর্মসূচিতে কতটা সক্রিয় ভাবে যোগ দেবেন তা নিয়ে সংশয়ে নেতৃত্ব। দলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “কর্মীদের মধ্যে যাতে শিথিলতা না আসে, তার জন্য কিছু কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ২ তারিখ নির্বাচন হলে ভাল হত। কর্মীরা প্রস্তুত ছিলেন। মঙ্গলবার থেকে ফের নতুন কর্মসূচি শুরু হবে। আশা করব, কর্মীরা থাকবেন।”
পশ্চিম মেদিনীপুরে মনোনয়ন-পর্ব শুরু হয়েছিল ২৯ মে। শেষ হয় ১০ জুন। ওই দিন ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। মনোনয়ন-পর্বের আগে ব্লক কর্মীদের নিয়ে মেদিনীপুরে একাধিক সভা করেছে তৃণমূল। প্রশিক্ষণ শিবির হয়েছে। ছিল প্রশ্নোত্তর পর্বও। যেখানে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা মনোনয়ন সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন করেন। জেলা নেতারা তার উত্তর দেন। মনোনয়ন-পর্ব শেষ হওয়ার পরপরই শুরু হয় প্রচার। দলীয় সূত্রে খবর, ২ তারিখ নির্বাচন হবে ধরে নিয়ে টানা প্রচারের ফলে কর্মীদের অনেকেই ক্লান্ত। তাঁরা আর প্রচার বেরোতে চাইছেন না। এদিকে, এই সময়ে কর্মীরা না-বেরোলে মানুষের সঙ্গে দলের একটা দূরত্ব তৈরি হয়ে যাবে বলেও তৃণমূল নেতৃত্বের আশঙ্কা। দলের এক জেলা নেতার কথায়, “আমাদের কর্মীরা বসে গেলে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা তার সুযোগ নিতে পারেন। প্রচারে বেরিয়ে তাঁরা মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারেন। তাই এখন দলের কেউ নিস্ক্রিয় হয়ে পড়লেই সমস্যা। সকলকে কর্মসূচির মধ্যে থাকতে হবে। বিরোধীদের এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া যাবে না।” তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার থেকে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত এলাকায় এলাকায় মিছিল-পথসভা-পাড়া বৈঠক হবে। ইতিমধ্যে ব্লক নেতৃত্বকে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। পরে ৬ থেকে ৮ জুলাই জেলার ২৯০টি অঞ্চলে সাইকেল মিছিল হবে। ৭৯৮টি পঞ্চায়েত সমিতির এলাকায় ছোট-বড় জনসভা হবে। কিছু সভায় রাজ্য নেতৃত্বও উপস্থিত থাকবেন।
যদিও জেলা নেতৃত্বের ঘোষিত টানা প্রচার কর্মসূচিতে দলের সকলে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তৃণমূলের এক জেলা নেতার কথায়, “সেই কবে থেকে প্রচার শুরু হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে মিটিং-মিছিল সবই হল। গত সপ্তাহ থেকেই কর্মীদের একাংশের মধ্যে একটা শিথিলতা চলে এসেছে। তা কাটানোর জন্য টানা প্রচার কর্মসূচির প্রয়োজন ছিল। তা আমরা নিয়েওছি। তবে কর্মীদের সকলে তাতে সাড়া দেবেন কি না, সংশয় থাকছে।”
ভোট পিছনোয় উদ্ভূত এই সমস্যা কি শুধু তৃণমূলে? সিপিএম-সহ বাম দলগুলি কী ভাবছে? সিপিএমের এক জেলা নেতা বলেন, “আমরা সে ভাবে প্রচার করতে পারিনি। বড় মিছিল বা মিটিং হয়নি। যে-যার পাড়ায় গিয়ে কোনওরকমে জনসংযোগ করেছেন। তাই ক্লান্ত হওয়ার প্রশ্ন নেই। যে ভাবে প্রচার করছিলাম, সেই ভাবেই চালিয়ে যাব।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.