রবিবার জঘন্য পরিস্থিতির মধ্যে খেলতে হল ভারতকে। পঞ্চাশ ওভারে ২২৯ এমন কিছু বড় স্কোর নয়। সব থেকে বড় কথা, চোট পাওয়া ধোনিকে ফিল্ডিং করার সময় মাঠে পায়নি ওরা। তা সত্ত্বেও কিন্তু লড়াই করে ম্যাচটা প্রায় বের করে নিয়েছিল কোহলিরা।
ভারত শেষ রক্ষা করতে পারল না স্রেফ ব্যাট হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই পেসারের জেদের জন্য। চুয়াল্লিশ ওভারের মধ্যে ২২০-৯ হওয়ার পরেও চাপের মুখে মাথা অবিশ্বাস্য রকমের ঠান্ডা রেখে জয় ছিনিয়ে নিল কেমার রোচ আর টিনো বেস্ট। দু’জনেই শেষ চার ওভার মাটি কামড়ে পড়ে থেকে শেষ দশটা রান করে গেল। রোচ প্রায় ১৬ ওভারে অপরাজিত ১৪ করল।
ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা শুরুতেই বুঝে যায়, ভেজা উইকেটে শট খেলা সহজ হবে না। তার পরেও শিখর আর কোহলি চালাতে গিয়ে উইকেট দিয়ে এল দেখে অবাক হয়েছি। দীনেশ কার্তিক পেসারদের বিরুদ্ধেও ক্রিজ ছেড়ে বেশ কয়েক পা এগিয়ে এসে ব্যাট করছিল। তাতেও ৫৬ বলে মাত্র ২৩ করল। যতক্ষণে রায়না আর ধোনি নামল, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। রবিবার আসল ফ্যাক্টর ছিল টস। আজ সাবাইনা পার্কের পিচ যদি শুরুতে একই রকম ভেজা থাকে, টস জিতলে ভারত ফিল্ডিং নিতে দেরি করবে বলে মনে হয় না।
ইদানীং বড় টুর্নামেন্টে শ্রীলঙ্কাকে পরপর হারিয়েছে ভারত। খাতায় কলমে শ্রীলঙ্কার থেকে ভারতের এই দলটা অবশ্যই শক্তিশালী। কিন্তু যে দলে সঙ্গকারা, জয়বর্ধনে আর মালিঙ্গা রয়েছে, তারা সব সময় বিপজ্জনক। বিশেষ করে অসমান বাউন্সে ভরা এই পিচটা তো একেবারে যেন মালিঙ্গার জন্যই অর্ডার দিয়ে তৈরি!
আজ ধোনি নামলে ভারত আরও শক্তিশালী হত। কিন্তু ধোনি খেলতে না পারলেও বাকিদের দুশ্চিন্তা করার কথা নয়। জিতেই জামাইকা ছাড়তে চাইবে ভারত। অন্য দিকে, শ্রীলঙ্কাও হারতে চাইবে না।
|
হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের জন্য ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। তাঁর জায়গায় বাকি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করবেন বিরাট কোহলি। ভারত থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ উড়ে যাচ্ছেন অম্বাতি রায়ডু-ও। রবিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে ব্যাট করার সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে টান পড়ে ধোনির। |