নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া |
পঞ্চায়েত ভোট শিয়রে। প্রচারে জোর বাড়াতে হবে। কিন্তু ‘বেকার’ তৃণমূল কর্মীরা অশান্তি করবে না তো? এই আশঙ্কাতে ভুগছেন হুগলি জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার হুগলির জেলাশাসক মনমীত নন্দার হাতে জেলার বেশ কিছু জায়গায় নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।
কিন্তু ‘বেকার’ তৃণমূল কর্মী-সমর্থক বলতে কাদের বোঝাচ্ছেন সিপিএম নেতৃত্ব?
তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে এ বার পঞ্চায়েত ভোটের জন্য জাঙ্গিপাড়া, ধনেখালি, তারকেশ্বর, পুড়শুড়া, খানাকুল বা গোঘাটের বহু আসনে সে ভাবে প্রার্থী দিতে পারেনি সিপিএম। ওই সব আসনে ইতিমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। সিপিএম মনে করছে, ওই সব এলাকায় আর তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রচার করা হবে না। ফলে, এখন ওই সব এলাকায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা ‘বেকার’ হয়ে পড়েছেন। কাজ না থাকায় মোটরবাইক নিয়ে তারা অন্যত্র দাপিয়ে বেড়াবে।
দলীয় প্রার্থী বা কর্মী-সমর্থকদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে, এমন কয়েকটি এলাকার নাম সংবলিত তালিকাও (হরিপাল, আরামবাগ, ধনেখালি ইত্যাদি) জেলাশাসকের হাতে তুলে দেন সিপিএম নেতৃত্ব। ওই সব জায়গায় তাঁরা আধাসেনার ‘রুট মার্চ’-এরও দাবি তুলেছেন। সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী বলেন, “আমরা আশঙ্কিত, যে সব এলাকায় সে ভাবে ভোট হচ্ছে না, তৃণমূলের সেখানকার বাইক-বাহিনী অন্যত্র দাপিয়ে বেড়াবে।”
আশঙ্কার কথা উড়িয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত বলেন, “সুদর্শনবাবুরা তাঁদের সময়কালের কীর্তির কথা ভুলতে পারছেন না। তাই একই জুজু দেখছেন। অযথাই ভয় পাচ্ছেন।” জেলাশাসক জানিয়েছেন, সিপিএম নেতৃত্ব যে সব জায়গায় নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলেছেন, পুলিশকে তা তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনমাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |