রাস্তায় ধস, হদিস নিকাশি নালার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দননগর |
ঝকঝকে রাস্তায় ধস!
চমকে গিয়েছিলেন প্রাতর্ভ্রমণকারীরা। চন্দননগরের স্ট্র্যান্ডের কাছে, ফরাসি ইনস্টিটিউটের পাশে সোমবার সকালে রাস্তাটি ১০ ফুট লম্বা এবং আট ফুট গভীর ভাবে ধসে গিয়েছে দেখতে পেয়ে তাঁরা খবর দেন পুলিশ-প্রশাসনে। তাঁদেরই তৎপরতায় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচল ওই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। বেড়া এবং পুলিশের গার্ডরেল দিয়ে ধসের এলাকাটি ঘিরে ফেলা হয়। এ দিন থেকেই মেরামতির প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে বলে চন্দননগর পুরসভা জানিয়েছে। |
ভরাট হবে কবে? ছবি: তাপস পাল।
|
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কী কারণে আচমকা রাস্তাটির একাংশ ধসে পড়ল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেন, “প্রাথমিক ভাবে পুরসভার পূর্ত বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন, মাটির নীচে একটি পুরনো নিকাশি-নালা রয়েছে। সেই কারণে ধস কিনা, তা ইঞ্জিনিয়াররা দেখছেন। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুরু হয়েছে মেরামতি। ফরাসি আমলের ভূগর্ভস্থ নিকাশি-নালাগুলির মানচিত্র খুঁজে বের করা হবে।”
এক সময়ের ফরাসি উপনিবেশ চন্দননগরের অন্যতম ঐতিহ্য তার বাঁধানো গঙ্গার পাড়। যা ‘স্ট্র্যান্ড’ নামেই পরিচিত। সেখানে প্রতিদিন ভোরে জমায়েত হন প্রাতর্ভ্রমণকারীরা। জোড়াঘাটের কাছে, রাস্তার উল্টো দিকে, কয়েক ফুট দূরেই রয়েছে ফরাসি ইনস্টিটিউট। ইনস্টিটিউটের গা ঘেঁষে একটি রাস্তা দু’ভাগ হয়েছে। ওই রাস্তার অন্য দিকে চন্দননগর কলেজ। কাছাকাছি এলাকার মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু স্কুলও রয়েছে। পুরসভার পূর্ত বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার শৈলেন নাথ বলেন, “ফরাসি আমলে এ শহরের নিকাশি ব্যবস্থা ছিল মাটির তলা দিয়ে। এত বছর কেটে গিয়েছে। একটি নিকাশি-নালা আমরা দেখেছি। সেই নালার গর্ত ঠিকমতো ভরাট না-থাকার কারণেই ধস নেমেছে বলে মনে হচ্ছে। আমাদের অনেকটা জায়গা জুড়ে খুঁড়তে হবে। তার পরে নীচের অবস্থা দেখে বালির বস্তা দিয়ে মেরামতির কাজ শুরু করতে হবে। আমরা এ দিন মাপজোক করে নিয়েছি।” |