|
|
|
|
মমতার ফ্রন্ট উড়িয়ে দিয়ে বামেরা চায় নীতির জোট
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
আগের বার মায়াবতীকে সামনে রেখে জোট গড়তে গিয়ে যথেষ্ট শিক্ষা হয়েছে। বামেরা এ বার সতর্ক। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে আর ভোটের জোট নয়, নীতির জোট চাইছেন তাঁরা। বামেদের নতুন স্লোগান হল, “নেতা নয়, নীতি চাই।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন লোকসভা নির্বাচনের আগে ফেডারেল ফ্রন্টের ডাক দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে চাইছেন, বামেরা তখন নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় মাঠে নামলেন ওই নয়া স্লোগান দিয়ে। মমতা প্রস্তাবিত ফেডারেল ফ্রন্টের প্রসঙ্গে প্রকাশ কারাট, এ বি বর্ধন, দেবব্রত বিশ্বাস, অবনী রায়দের ঘোষণা, বিকল্প জোট তৈরি করলেই হবে না। বিকল্প নীতি তৈরি করতে হবে। সেই বিকল্প নীতি দিতে পারে একমাত্র বামেরাই।
দিল্লির মাভলঙ্কার হলে আজ সিপিএম, সিপিআই, ফরওয়ার্ড ব্লক এবং আরএসপি-র সম্মেলনে সেই বিকল্প নীতিই ঘোষণা হয়েছে। যে বিকল্প নীতির ভিত্তিতেই এ বার অ-কংগ্রেসি, অ-বিজেপি জোটের চেষ্টা শুরু করবেন তাঁরা। এই বিকল্প নীতি পাঠানো হবে অন্যান্য ধর্মনিরপেক্ষ, আঞ্চলিক দলের কাছে। তবে এই বিকল্প নীতিতে নতুন কী রয়েছে, তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি বাম নেতারা। সিপিএম-কাণ্ডারী প্রকাশ কারাট সম্মেলনের শুরুতে ১০ দফা নীতি ঘোষণা করেছেন। তাতে অন্যান্য বিষয়ে পুরনো অবস্থানের কথা বলা হলেও সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম থেকে শিক্ষা নিয়ে তাঁরা জোর করে জমি অধিগ্রহণের বিপক্ষেই সওয়াল করেছেন।
ইউপিএ-এনডিএ থেকে একের পর এক দল বেরিয়ে যাওয়ায় তৃতীয় জোটের সম্ভাবনা বেড়েছে, বলেই মনে করছেন বাম নেতারা। তবে মমতার বিকল্প জোটের ডাককে খারিজ করে সিপিআই-এর সাধারণ সম্পাদক সুধাকর রেড্ডির বক্তব্য, “কেউ কেউ অ-কংগ্রেসি, অ-বিজেপি, অ-বাম ফেডারেল ফ্রন্টের কথা বলছেন। কিন্তু বামেদের বাদ দিয়ে এই ধরনের ফ্রন্ট কখনই সম্ভব নয়।” ফব-নেতা দেবব্রত বিশ্বাসের বক্তব্য, “গণতন্ত্রের উপর পশ্চিমবঙ্গে কী ধরনের আক্রমণ হচ্ছে সেটা আমরা দেখছি। বাকিরাও দেখছেন।” |
|
|
|
|
|