|
|
|
|
স্থগিত থাকছে পর্যটন-উৎসব |
কাশ্মীরে ফৌজি স্কুলে ভাঙচুর
সংবাদসংস্থা • শ্রীনগর |
সেনাবাহিনীর গুলিতে দুই যুবকের মৃত্যুর প্রতিবাদে কাশ্মীরের ‘আর্মি গুডউইল স্কুলে’ ভাঙচুর চালাল জনতা। তারা স্কুলটিতে আগুনও ধরিয়ে দিতে যায়, কিন্তু তখনই ঘটনাস্থলে দমকল ও পুলিশ পৌঁছলে পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে। সোমবার রাজ্য জুড়ে ধর্মঘট ডাকে হুরিয়ত কনফারেন্স এবং জেকেএলএফ।
ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ঘোষণা করেছেন, রবিবারের এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থগিত থাকবে গুরেজ পর্যটন উৎসব।
গুলিচালনার ঘটনা নিয়ে অবশ্য তদন্তের নির্দেশও দিয়েছে সেনাবাহিনী। মেজর জেনারেল আর আর নিমবোরকার এই নির্দেশ দেন। পুলিশের তরফেও একটি খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। |
|
সোমবার শ্রীনগরের রাস্তায় আধাসামরিক বাহিনীর টহল। ছবি: এএফপি |
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শনিবার গভীর রাতে তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় উত্তর কাশ্মীরের বন্দিপোরা জেলার সুম্বল এলাকায় কোনও রকম প্ররোচনা ছাড়াই গুলি চালায় সেনাবাহিনী। তাতেই নিহত হন দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র, ১৮ বছরের ইরফান নবি। ঘটনার প্রতিবাদে আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। রবিবার সকালে বিক্ষোভ জমায়েতেই দ্বিতীয় বার গুলি চালায় সেনাবাহিনী। নিহত হন ২৭ বছরের ইরশাদ আহমেদ ডর।
পুলিশ সূত্রের খবর, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের কাশ্মীর সফরের আগে জঙ্গি হানায় ৮ জওয়ান নিহত হওয়ার ঘটনার পর থেকেই অপরাধীদের ধরতে মরিয়া হয়ে উঠেছে নিরাপত্তা বাহিনী। উপর তলা থেকেও চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল তাঁদের উপর। ওই অঞ্চলে জঙ্গি কার্যকলাপের আগাম খবর ছিল। তল্লাশি চালানোর সময় কিছু মানুষের অস্বাভাবিক গতিবিধিই গুলি চালাতে বাধ্য করে জওয়ানদের।
মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা বলেছেন, “আমার সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা নেই। এই ধরনের ঘটনা সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়, এগুলি এড়ানো সম্ভব।...যদি ওদের জীবন ফেরানো যেত, তা হলে তার জন্য যা প্রয়োজন তাই করতাম আমি। কিন্তু সেই ক্ষমতা তো মানুষের নেই। |
|
|
|
|
|