ক্ষুদ্র চা চাষিদের চা পাতার দাম পেতে অসুবিধা যাতে না হয়, তার জন্য হেল্প লাইন চালু করল জেলা প্রশাসন। এখন থেকে প্রতিদিনই হেল্প লাইনে ফোন করে কোন ‘বটলিফ ফ্যাক্টরি’ কি দাম দিতে চাইছে তার খবর পাবেন চা চাষিরা। সেই মতো তাঁরা নিজেরাই ঠিক করতে পারবেন কোন ফ্যাক্টরিতে তাঁরা তাঁদের উৎপাদিত পাতা বিক্রির জন্য পাঠাবেন। সোমবার শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ সভাকক্ষে সব পক্ষকে নিয়ে একটি বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন। তিনি জানান, এই ব্যবস্থা নিয়ে নিয়মিত ব্যবধানে তত্ত্বাবধানের জন্য একটি সমন্বয় কমিটিও তৈরি হয়েছে।
জেলাশাসক বলেন, “এ দিনের বৈঠকে সব রকম আলোচনাই হয়েছে। আপাতত এই ব্যবস্থাগুলি নেওয়া হয়েছে। এর পর এই ব্যবস্থা ঠিকমতো কাজ করছে কিনা তা নিয়মিত ব্যবধানে পর্যালোচনা করে দেখা হবে।”এই কমিটিতে জেলাশাসক চেয়ারম্যান হিসেবে থাকবেন। তা ছাড়া টি বোর্ডের এক জন থাকবেন সদস্য হিসেবে। অন্যদের মধ্যে ক্ষুদ্র চা চাষিদের থেকে ২ জন, বটলিফ ফ্যাক্টরি মালিকদের তরফে ২ জন করে থাকবেন। দু’একজন মনোনীত সদস্য থাকতে পারেন। |
চা পাতার মূল্য নির্ধারণ নিয়ে বৈঠকে দার্জিলিঙের জেলাশাসক-সহ অন্যরা। |
টি বোর্ডে আঞ্চলিক উপ অধিকর্তা রাকেশ কুমার বৈঠক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন,“সমস্ত সুযোগ সুবিধা নিয়ে কথা হয়েছে। আমাদের হেল্প লাইন চালু করতে বলা হয়েছে। খুব শীঘ্রই প্রস্তাবিত বিষয়গুলি কার্যকর করা হবে। চা পাতার দাম নির্ধারণ করতে কমিটি গঠন করা হবে।” ক্ষুদ্র চা চাষিদের সংগঠন কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনস (সিসটা)-র সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “ চা পাতার দাম গত কিছুদিন থেকে ব্যপক হারে কমে গিয়েছে। বাইরের বাজারে চা পাতা ১২০-১২৫ টাকা কিলো দরে বিকোচ্ছে। কিন্তু চা চাষিরা দাম পাচ্ছে না। এটা নিয়ে উদ্যোগ নেওয়া দরকার।” নর্থ বেঙ্গল টি প্রোডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান প্রবীর শীল অবশ্য চা পাতার দাম নিয়ে ভিন্ন মত পোষণ করেন। তাঁর দাবি,“উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার রাস্তা খারাপ। তাই চা পাতা তোলার পরে প্রায় ৭-৮ ঘন্টা পরে চা পাতা বটলিফ ফ্যাক্টরিতে পৌঁছায়। ফলে মান নষ্ট হয়। এ ছাড়া খরচ বাঁচাতে চা চাষিরা ৭-৮ দিনের বদলে ১৪-১৫ দিনে চা পাতা তুলছে। ফলে এই পাতা আগাছায় পরিণত হচ্ছে। তাই দাম ভাল পাওয়া যাচ্ছে না।” |