শিল্পাঞ্চলে বক্তৃতা, গানে বিধান-স্মরণ
নিজস্ব প্রতিবেদন |
শিল্পাঞ্চল জুড়ে যথোচিত মর্যাদায় পালিত হল রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের জন্ম ও মৃত্যুদিন। সোমবার আসানসোলের কল্যাণপুর গোলপার্ক এলাকায় পুরসভার উদ্যোগে মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ডেপুটি মেয়র অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় ও মেয়র পারিষদ অভিজিৎ ঘটক। আয়োজন ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও। এছাড়া কুলটির বিধান শিশু উদ্যানে সেল-গ্রোথ ওয়ার্কস-এর উদ্যোগে বিধানচন্দ্র রায়ের মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এলাকার বিশিষ্ট নাগরিকেরা।
|
দুর্গাপুর পুরসভার পক্ষ থেকেও তথ্যকেন্দ্রে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিসি রায় মেমোরিয়াল কমিটি’র উদ্যোগেও নেতাজি ভবনের সামনে তাঁর স্মরণে অনুষ্ঠান করা হয়। উপস্থিত বক্তারা দুর্গাপুরকে রাজ্য তথা দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার পিছনে বিধানচন্দ্র রায়ের অবদান আলোচনা করেন। দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার (ডিএসপি) পক্ষ থেকেও দিনটি পালন করা হয়। ইস্পাত ভবনের একতলায় বিধানচন্দ্রের মূর্তিতে মাল্যদান করেন ডিএসপি’র সিইও পঙ্কজকুমার সিংহ। তিনি বিধানচন্দ্রকে আধুনিক বাংলার রূপকার বলে বর্ণনা করেন। এই দিনটি চিকিৎসক দিবস হিসাবেও পালিত হয়।
রানিগঞ্জেও শিক্ষা ও সংস্কৃতি মঞ্চের উদ্যোগে রক্তের শ্রেণিনির্ণয় ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির হয় এ দিন। সেখানে ‘স্বাস্থ্য ও শিক্ষা’ বিষয়ক একটি আলোনাচক্রে বক্তৃতা করেন রামদুলাল বসু, শ্যামল আচার্য। সন্ধ্যায় সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। রানিগঞ্জ আইএমএ-র উদ্যোগেও দিনটি পালন করা হয়েছে। আইএমএ ভবনে রামহরিপুর রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী ওঙ্কারাত্মানন্দ ও আসানসোলের মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বিধান রায়কে নিয়ে আলোচনা করেন। এ ছাড়া আসানসোল সাহিত্যপ্রেমী লেখক কবি সমাবেশের উদ্যোগে আসানসোলের ট্রিনিটি ট্রাস্ট পাঠচক্রের অধিবেশনকক্ষে আলোচনাচক্রের ব্যবস্থা হয়। আলোচনা করেন চিকিৎসক অরুণাভ সেনগুপ্ত, প্রতিভারঞ্জন মুখোপাধ্যায়। সঙ্গীত পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পী মাধব অধিকারী। |