এক যুবককে কুপিয়ে খুন করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রায়গঞ্জে চাঞ্চল্য ছড়াল। শনিবার গভীর রাতে শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ে পথে তাঁর মৃত্যু হয়। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, নিহতের নাম পলাশ কর্মকার (২৬)। তাঁর বাড়ি রায়গঞ্জের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের দেবীনগর রামকৃষ্ণপল্লি এলাকায়। রাতে বাড়ির অদূরে রাস্তার ধার থেকে তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের মাথায়, মুখে, হাতে ও পায়ে ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। তিনি মোবাইল ও মোবাইল সামগ্রী সরবরাহের ব্যবসা করতেন।
রবিবার বিকালে নিহতের বাবা দুলালবাবু রায়গঞ্জ থানায় লিখিতভাবে খুনের অভিযোগ দায়ের করলেও সেই অভিযোগে কারোর নাম উল্লেখ করেননি বলে পুলিশ সূত্রের খবর। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, “খুনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। ওই যুবক সুদের ব্যবসা করতেন। তা নিয়ে গোলমালের জেরে তিনি খুন হয়েছেন কী না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
রায়গঞ্জ থানার আইসি দীনেশ প্রামাণিক জানান, পলাশবাবু সুদের কারবার ছাড়াও মোবাইল ফোন বন্ধক নিয়ে টাকা দেওয়ারও কারবার করতেন। একবছর আগে এলাকায় খেলাধূলার স্বার্থে পলাশবাবু-সহ স্থানীয় কিছু যুবক এলাকার খেলার মাঠ হিসাবে ব্যবহৃত একটি জমি বিক্রির বিরোধীতা করেছিলেন। এই বিষয়টিও দেখা হচ্ছে।
নিহতের বাবা দুলালবাবু রায়গঞ্জের উকিলপাড়া এলাকায় একটি সোনার দোকানে কাজ করেন। মা দোলাদেবী গৃহবধূ। তাঁদের একমাত্র ছেলে ছিলেন পলাশবাবু। দুলালবাবুর দাবি, “তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে ভাত খাবে বলে জানিয়ে শনিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ ও বার হয়। কিছুক্ষণ পরেই জানতে পারি ছেলেকে দুষ্কৃতীরা কুপিয়ে দিয়ে পালিয়েছে। শিলিগুড়িতে নিয়ে যাওয়ার পথেই ও মারা যায়। ছেলে কোনও অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিল না।” পুলিশ সূত্রের খবর, দুলালবাবু অভিযোগে পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর ছেলের এলাকার একটি ক্লাবে যাতায়াত করতেন। ক্লাবের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবিও তুলেছেন তিনি। |