রবিবার সকালে হালকা বৃষ্টির পরে, দুপুরে মেঘমুক্ত আকাশের দেখা মিললেও, ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গ ও সিকিমে ফের ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর। বৃহস্পতিবার থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গে। এ দিন রবিবারও সকাল থেকে বৃষ্টি চলেছে উত্তরবঙ্গে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় সমতলের তুলনায় উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল বেশি। পাহাড়ে বেশি বৃষ্টির কারণে ভুটান ও সিকিম পাহাড় থেকে নেমে আসা উত্তরবঙ্গের নদীগুলিতে জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। রবিবার দুপুরে তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জলপাইগুড়ি-শিলিগুড়ি এলাকায় রবিবার সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ ৪০ মিমির নীচে থাকলেও, সেবকে ৭২ মিমি বৃষ্টি হয়। তবে এ দিন দিনভর-ই বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হয় উত্তরবঙ্গে। মালদহ, কোচবিহার সকালে বৃষ্টি হলেও দুপুরের পরে রোদ ওঠে। দক্ষিণ দিনাজপুরে সারা দিনই ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। তবে তাপমাত্রা বেশি থাকায় অস্বস্তিতে পড়তে হয় ।
উত্তরপ্রদেশে ঘনীভূত নিম্নচাপের কারণেই উত্তরবঙ্গ ও সিকিমে টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। রবিবার সকালে নিম্নচাপটি বাড়তি শক্তি সঞ্চয় করলেও অবস্থান বদল করেনি, সে কারণে ফের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এদিন রাতের থেকেই টানা বৃষ্টি শুরু হতে পারে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, “নিম্নচাপের কারণে উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমে বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। গত শুক্র-শনিবার বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হলেও, রবিবার রাতের থেকে টানা বৃষ্টি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সোমবারেও বৃষ্টি থাকবে। উত্তরপ্রদেশে যতক্ষণ নিম্নচাপ অবস্থান করবে অথবা যতদিন পর্যন্ত সেটি দুর্বল না হয়ে পড়বে, বৃষ্টি চলতে থাকবে।
শনিবার বিকেলে মূর্তি নদীতে হড়পা বানে দুটি ট্রাক আটকে যায়। নদী খাত থেকে বালি, পাথর তুলতে গিয়েছিল ট্রাক দুটি। শনিবার দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা চালিয়ে ট্রাকদুটিকে তুলে আনা যায়নি। এদিন রবিবার সকালে ক্রেন দিয়ে টেনে ট্রাক দুটিকে নদী থেকে তোলা হয়েছে। নদীর জলস্তর না কমায় এখনও আতঙ্কে রয়েছে নদী লাগোয়া মেটেলির বিধাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা। ডুয়ার্স এলাকার সমস্ত নদী থেকেই বালি পাথর তোলায় সর্তকতা জারি করেছে প্রশাসন। মালবাজারের মহকুমা শাসক নারায়ণ বিশ্বাস বলেন, “নদী এবং লাগোয়া বিধাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতে নেওড়া নদীর গতি-প্রকৃতির উপর নজর রাখা হয়েছে।” |