দলের দুই শীর্ষ নেতা ফেরার। জেলবন্দি জেলাস্তরের আরও তিন নেতা। ব্লক স্তরের নেতাদের কেউ মামলায় জড়িয়ে একই দশা। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে দক্ষিণ দিনাজপুরে কার্যত দিশেহারা দলের নেতা কর্মীর মনোবল ফেরাতে রাজ্য সিপিএম নেতৃত্বকে হাল ধরতে হচ্ছে। ভোট প্রচার, পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে পরপর বালুরঘাটে আসতে হচ্ছে রাজ্য নেতৃত্বকে। আইনজীবী সেলের কয়েকজন সদস্য জানান, প্রাক্তন মন্ত্রী নারায়ণ বিশ্বাস ও জেলা সম্পাদক মানবেশ চৌধুরীর হাইকোর্টে আগাম জামিনের বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে।
এই পরিস্থিতিতে ভোটের ময়দান ফাঁকা রাখতে চায় না দল। রাজ্য সিপিএমের তাবড় নেতাদের দক্ষিণ দিনাজপুরে পাঠিয়ে প্রচারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। বিধানসভার বিরোধী নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র থেকে বিমান বসু, গৌতম দেব থেকে মানব মুখোপাধ্যায়, মহম্মদ সেলিম দক্ষিণ দিনাজপুরে ঘাঁটি গাড়ছেন। রবিবার আসেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান তথা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু। তিনি বংশীহারীর একাধিক জায়গায় নির্বাচনী প্রচারসভা করেন। তাঁর অভিযোগ, “এই জেলায় নতুন করে সন্ত্রাস তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। চক্রান্ত করে মানবেশ, নারায়ণ সহ জোনাল সম্পাদকদের ফৌজদারি মামলা দেওয়া হয়েছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ভেঙে ফেলার চেষ্টা চলছে।” দিনভর নির্বাচনী সভা করে বিমানবাবু বিকেলে মালদহে চলে যান। বালুরঘাটে সিপিএমের জেলা নেতা কল্যাণ দাস বলেন, “বিধানসভার বিরোধী নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র, প্রাক্তন মন্ত্রী মহম্মদ সেলিম, গৌতম দেবে আসবেন।”
২১ জুন জেলার প্রভাবশালী দুই নেতা, প্রাক্তন মন্ত্রী নারায়ণ বিশ্বাস ও জেলা সম্পাদক মানবেশ চৌধুরী গ্রেফতারি এড়াতে গা ঢাকা দেন বলে অভিযোগ। গঙ্গারামপুরের জোনাল সম্পাদক বলরাম ঘোষ, পুরসভার চেয়ারম্যান সুবল বসাক, জেলা নেতা অচিন্ত্য চক্রবর্তীকে পুলিশ পার্টি অফিস থেকে গ্রেফতার করে। অস্ত্র মামলায় জড়িয়ে তারা এখন জেলে। এরই মধ্যে শনিবার হরিরামপুর থেকে গ্রেফতার হন গোকর্ণ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী সিপিএম প্রধান আলেমুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে সাজাহান আলি। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন তাঁরা।
গঙ্গারামপুরে ৩ সিপিএম নেতা গ্রেফতার ও নারায়ণ ও মানবেশবাবুর ‘আত্মগোপনে’র পরই জেলায় চলে আসেন আরেক প্রাক্তন মন্ত্রী মানববাবু। তিনি জেলা ছাড়তেই আসেন রাজ্য নেতা তাপস সিংহ। বিমানবাবু গেলেও জেলায় আজ, সোমবার আসছেন কেন্দ্রীয় নেতা মহম্মদ সেলিম। |