অনুমোদনের পর কেটে গিয়েছে তিন বছর |
ক্যানিংয়ে শেষ হয়নি আইটিআই তৈরির কাজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ক্যানিং |
এক বছর পেরিয়ে গেলেও শেষ হল না ক্যানিংয়ে আইটিআই কলেজ তৈরির কাজ।
মহকুমা ও ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালে আইটিআই কলেজের প্রকল্পটি অনুমোদন করে কারিগরি শিক্ষা দফতর। প্রাথমিক ভাবে অনুমোদন হয় সাড়ে তিন কোটি টাকা। জীবনতলার ঝোড়োর মোড়ের কাজে ২০১০ সালে তিন একর জমিতে শুরু হয় কলেজ তৈরির কাজ। কাজের বরাত দেওয়া হয় সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের অধীন সুন্দরবন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনকে। ২০১২ সালের মধ্যে কলেজের বাড়ির কাজ শেষ হয়। কিন্তু এখনও হয়নি মেঝে। বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের সংযোগও মেলেনি। আসেনি কোনও আসবাবপত্রও। |
|
এখন যে ভাবে কলেজ। ছবি: সামসুল হুদা। |
বর্তমানে রাজ্যের শিক্ষা মানচিত্রে বেশ পিছনের সারিতেই রয়েছে ক্যানিং মহকুমা। এলাকায় কয়েকটি ডিগ্রী কলেজ থাকলেও নেই কোনও কারিগরি শিক্ষার কলেজ। তাই এই কলেজ তৈরির প্রকল্পটি নিয়ে গ্রামবাসীরা স্বপ্ন দেখেছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা বীরবল মণ্ডল, লুৎফর মোল্লার আক্ষেপ, “কলেজটি চালু হলে আমাদের এলাকার পরিবেশটাই বদলে যেত।” গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন অর্ধনির্মিত অবস্থায় পড়ে থাকায় কলেজ বাড়িটির জানলা, দরজা ও গ্রিল চুরি হচ্ছে। সন্ধ্যার পর বসছে মদ-জুয়ার আসর। নানা ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগও উঠছে।
ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সিপিএমের রেজ্জাক মোল্লা বলেন, “কলেজের প্রকল্পটি আমাদের আমলের। কিন্তু তৃণমূলের সরকার সেটা কার্যকর করতে পারছে না। কোথায় খামতি রয়েছে তা বুঝতে পারছি না।”
প্রকল্পটি নিয়ে সমস্যার কথা স্বীকার করে ক্যানিং ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের সওকত মোল্লা বলেন, “ওই কলেজ নির্মাণের কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে। বিষয়টি সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরকে জানিয়েছি। সাংসদ মুকুল রায়েরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।”
মহকুমাশাসক শেখর সেন বলেন, “বিষয়টি নজরে রয়েছে। তবে কী কারণে কাজ বন্ধ সেটা বলতে পারব না।” সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরার দাবি, “কলেজটির কিছু কাজ অসমাপ্ত হয়ে রয়েছে। চেষ্টা করছি দ্রুত কাজ শেষ করার। কারিগরি দফতরের সঙ্গেও আলোচনা করব।” |
|