|
|
|
|
প্রচারে বেড়িয়ে নন্দীগ্রামে প্রহৃত সিপিএম কর্মীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
দলীর প্রার্থীর হয়ে পোস্টার সাঁটাতে গিয়ে মারধর খেলেন নন্দীগ্রামের সিপিএমের কর্মীরা। নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ায় রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে। ৪ জন সিপিএম সমর্থক গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের প্রথমে রেয়াপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে তাঁদের তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ দিকে, এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ক্ষিপ্ত সিপিএম সমর্থকরা রেয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ফাঁড়ির সামনে সিপিএম সমর্থকদের অবস্থান-বিক্ষোভ চলে। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। |
|
হাসপাতালে আহতরা।—নিজস্ব চিত্র। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের রেয়াপাড়া বুথের সিপিএম প্রার্থী রত্না ভট্টাচার্য-সহ দলের ১০-১২ জন কর্মী ভোট-প্রচারে বেরিয়েছিলেন। এলাকায় দলের পোস্টার সাঁটানোর পাশাপাশি পতাকা লাগানোর কাজ করছিলেন তাঁরা। সকাল ১১টা নাগাদ রেয়াপাড়া শিবমন্দিরের কাছে আচমকা প্রায় ২০-২৫ জন তৃণমূল সমর্থক লাঠি-রড হাতে তাঁদের ঘিরে ফেলে ব্যাপক মারধর করেন বলে অভিযোগ। তৃণমূল সমর্থকদের মারধরে সুমিত ব্রহ্ম, শান্তনু ব্রহ্ম, বিধান দেবনাথ ও বাপ্পা দেবনাথ নামে ৪ জন সিপিএম কর্মী গুরুতর আহত হন। বাকিরা অল্পবিস্তর চোট পেয়েছেন। খবর পেয়ে স্থানীয় সিপিএম সমর্থকরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে রেয়াপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এই ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ক্ষুদ্ধ সিপিএম সমর্থকরা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে স্থানীয় রেয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ-অবস্থান শুরু করেন। দুপুর পর্যন্ত ওই বিক্ষোভ চলে। পরে পুলিশের আশ্বাসে তা বন্ধ হয়। স্থানীয় সিপিএম নেতা তথা দলের জেলা কমিটির সদস্য সুরপতি দেবনাথের অভিযোগ, “পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন-পর্ব থেকেই হুমকি দিচ্ছিল তৃণমূল। এ দিন দলীয় প্রার্থীর প্রচারের সময় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের কর্মীদের উপর হামলা চালায়। ৬ জন তৃণমূল সমর্থকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আগেও একাধিকবার অভিযোগ জানানো হয়েছে। কিন্তু পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। তাই এদিন পুলিশ ফাঁড়িতে বিক্ষোভ দেখাই আমরা।” নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধক্ষ্য মহাদেব বাগ সিপিএমের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘এ দিন রেয়াপাড়ায় সিপিএমের কিছু লোক লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের কয়েকজন কর্মীকে ধাওয়া করেছিল। এই সময় আমাদের দলের স্থানীয় সমর্থকরা জড়ো হয়ে তা প্রতিরোধ করতে গেলে সিপিএমের লোকেরা পালিয়ে যায়। এখন ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে।” |
|
|
|
|
|