ডেভিড ওয়ার্নারের ঘুষির বদলা বাইশ গজে নিতে পারবেন কিনা জানেন না জো রুট। তবে, রবিবার এসেক্সের বিরুদ্ধে অ্যাসেজের প্রস্তুতি ম্যাচে নামার আগেই নিজেকে তাতানোর কাজটাও শুরু হয়ে গিয়েছে ইংরেজ ক্রিকেটারের। শুধু অ্যাসেজে প্রথম নামাটাই তো নয়, রুটের সামনে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে অস্ট্রেলিয়ার ‘স্লেজিং’ সামলানো। রুট বিলক্ষণ জানেন বার্মিংহ্যাম ‘পাঞ্চ গেট’-এর পর অ্যাসেজে অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত স্লেজিং-এর টার্গেট তিনিই। সরাসরি কিছু না বললেও তাঁর কথায় স্পষ্ট অ্যাসেজের চ্যালেঞ্জের জন্য শারীরিক আর মানসিক ভাবে তৈরি হচ্ছেন। “ওয়ার্নার অ্যাসেজ টিমে থাকবে কি না সেটা বোর্ডের ব্যাপার। ও খেললেও সমস্যা নেই। সেই ঘটনার রেশ আর নেই। শুধু ক্রিকেট নিয়েই ভাবছি এখন,” বলে দেন তিনি।
মুখে যতই বলুন না কেন, একেই অ্যাসেজ খেলার চাপ, তার উপর এমন বিশ্রী একটা ঘটনা, দুটো মিলিয়ে কি আলাদা চাপ থাকবে না? “জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ তো বটেই। তবে এই চ্যালেঞ্জটা আমি উপভোগ করতে চাই। ইংল্যান্ডের হয়ে মাঠে নামাটা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি সম্মানের। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই অ্যাসেজে খেলব স্বপ্ন দেখতাম,” বলেন রুট।
নিক কম্পটনের খারাপ ফর্মের জন্য জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর থেকে ২২ বছর বয়সি ওপেনার খারাপ পারফর্ম করেননি। মাথা ঠান্ডা রেখে দীর্ঘ ইনিংস খেলার ক্ষমতা প্রমাণ করেছেন একটা সেঞ্চুরি আর দুটো হাফ সেঞ্চুরি-সহ ছয় টেস্টে ৪২৪ রান করে। এসেক্সের বিরুদ্ধে রবিবার শুরু হওয়া চার দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে ওপেনার হিসেবে নেমে আহামরি কিছু অবশ্য করতে পারেননি রুট। ৪১ রানে আউট হন। এর মধ্যে আবার এসেক্সের পেসার টাইমাল মিলসের ডেলিভারিতে বাঁ-হাটুতে চোটও পেয়েছেন রুট। চোট গুরুতর কি না সে ব্যাপারে ইংল্যান্ড টিম ম্যানেজমেন্ট কিছু জানায়নি।
তবে, একটা ঘুষি যে এ ভাবে কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে কে জানত? অন্তত রুটের তো এ ব্যাপারে কোনও ধারণাই ছিল না। বার্মিংহ্যামের পানশালায় সে দিন ডেভিড ওয়ার্নার হঠাৎ কেন খেপে গিয়েছিলেন, রুট জানেন না। সোনালি-সবুজ পরচুলাটা নিয়ে মজা করতে করতে ওয়ার্নারের খেপে যাওয়াটা প্রথমে বোধগম্য হয়নি। এর জন্য ওয়ার্নার যে হাত চালিয়ে দেবেন তা তো কল্পনাতেও আসেনি। তার পর জল অনেক দূর গড়িয়েছে। ওয়ার্নারের জরিমানা, নির্বাসন দুটোই হয়েছে। অস্ট্রেলীয় ওপেনার ক্ষমাও চেয়েছেন। কিন্তু ইংরেজ ব্যাটসম্যান ওয়ার্নারকে ক্ষমা করতে পেরেছেন কি? |