৪০ বছর আগে লড়াইটা শুরু করেছিলেন বিলি জিন কিং। টেনিসে পুরুষদের সঙ্গে মেয়েদেরও সমান অধিকার অর্জনের লড়াই। পেশাদার টেনিসে মেয়েদের আলাদা সংস্থার জন্ম সেই লড়াই থেকেই। উইম্বলডনে রবিবারের ছুটির দিন ডব্লিউটিএ-র ৪০ বছর পূর্তি-উৎসব ‘ফর্টি লাভ’ একঝাঁক প্রাক্তন আর বর্তমান তারকার উপস্থিতিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠল। কে ছিলেন না সেই চাঁদের হাটে? মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা, সেরেনা উইলিয়ামস, মারিয়া শারাপোভা, আনা ইভানোভিচ, মনিকা সেলেস, ট্রেসি অস্টিন, লিন্ডসে ডাভেনপোর্ট আর স্বয়ং বিলি জিন কিং-তো ছিলেনই।
আড্ডার ফাঁকে সেন্টার কোর্টের দিকে তাকিয়ে সেই লড়াইয়ের দিনগুলো মনে পড়ছিল কিংবদন্তি মার্কিন তারকার। ১৯৭৩-এ ডব্লিউটিএ গড়ার সময় দিন-রাত কাজের মধ্যেই কী ভাবে তাঁর পঞ্চম উইম্বলডন খেতাব জিতেছিলেন বিলি জিন! কেরিয়ারে প্রচুর খেতাব, প্রচুর পুরস্কার পেয়েছেন। কিন্তু এখন গ্র্যান্ড স্ল্যামে পুরুষদের চ্যাম্পিয়নের মতো মেয়েদের চ্যাম্পিয়নও যখন একই অর্থমূল্যের চেকটা পান, বিলির কাছে সেটা নিজের পুরস্কারের থেকে কম কী? ৩৯টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী বলছেন, “অর্থটা বড় ব্যাপার নয়, সমানাধিকারটাই আসল। মাঝেমাঝে ভাবি গ্লস্টারে সেই বৈঠকগুলো না করলে এই দিনটা আসত কি?”
গোপনে নিজস্ব সংগঠন তৈরির পরিকল্পনার পাশাপাশি উইম্বলডনে নামার ধকল সামলাতেন কী করে? ‘‘কোর্টে নামার আগেই এত ক্লান্ত লাগত মনে হত প্রথম রাউন্ডেই ছিটকে যাব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খেতাবটা সে বার আমিই জিতেছিলাম। আসলে মেয়েদের অধিকারের লড়াইটা আমরা ভীষণ ভাবে চেয়েছিলাম। আর সেটায় সফল হওয়ার আনন্দই আমাকে কোর্টে আলাদা প্রেরণা দিয়েছিল,” বলেন কিংবদন্তি বিলি জিন। |
|
|
ডব্লিউটিএ-র অনুষ্ঠানে সেরেনা উইলিয়ামস, বিলি জিন কিং |
|
|
|
মনিকা সেলেস এবং মারিয়া শারাপোভা। |
|