|
|
|
|
হাতে আর মাত্র ১০ দিন |
বৃষ্টি মাথায় নিয়েই ভোট প্রচার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
হাতে আর মাত্র ১০ দিন।
আগামী ১১ জুলাই পশ্চিম মেদিনীপুরে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সামনে আর একটা শনি-রবি। এই রবিবার তাই টানা বৃষ্টির মধ্যেই পুরোদমে প্রচার করল ডান-বাম সব পক্ষ। হল কর্মিসভা, মিছিল, বাড়ি বাড়ি প্রচার। তবে টানা বৃষ্টিতে কিছু সমস্যা হয়েছে। প্রচারও ব্যাহত হয়। তবে আপাতত বৃষ্টি থামার আশা দেখাচ্ছে না আবহাওয়া দফতরও। উল্টে বলা হচ্ছে, আগামী ৭২ ঘন্টা একই আবহাওয়া থাকবে। মেদিনীপুর কলেজের এন সি রাণা আকাশ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে খবর, রবিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুরে বৃষ্টি হয়েছে ২৪ মিলিমিটার। পূর্ব মেদিনীপুরে বৃষ্টির পরিমাণ ৩২ মিলিমিটার। কেন্দ্রের অধিকর্তা সত্যব্রত রায় বলেন, “বর্ষা শুরু হয়েছে। মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হবেই।”
|
|
প্রচারে প্রতিপক্ষ: পিংলায় প্রচার জেলা পরিষদের তৃণমূল প্রার্থী অজিত মাইতি
এবং সিপিএম প্রার্থী অন্তরা ভট্টাচার্যের। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
এর মধ্যেই চলছে ভোটের প্রচার। রবিবার বিকেলে নারায়ণগড়ের বাখরাবাদে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করেন তৃণমূল প্রার্থী সূর্য অট্ট। তিনি জেলা পরিষদ আসনে দাঁড়িয়েছেন। সূর্যবাবুর কথায়, “প্রতিটি এলাকায় পৌঁছনোর চেষ্টা করছি। বৃষ্টিতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। বেশি বৃষ্টির সময় এক জায়গায় দাঁড়িয়ে পড়ছি। ফের বৃষ্টি কমলে বেরিয়ে পড়ছি।” সকালে বাড়ি বাড়ি প্রচারে সারেন সিপিএম প্রার্থী শান্তনু পাল। তিনি জেলা পরিষদের শিশু ও নারী উন্নয়ন দফতরের কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। এ বারও জেলা পরিষদেই প্রার্থী হয়েছেন। ডেবরার কিছু এলাকায় এ দিন প্রচার করেন শান্তনুবাবু। তিনি বলেন, “কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার করছি। বৃষ্টির মধ্যেই প্রচার চালাতে হবে। হাতে তো আর বেশি দিন নেই।” বসে নেই তৃণমূল প্রার্থী নির্মল ঘোষও। তিনি শান্তনুবাবুর প্রধান প্রতিপক্ষ। নির্মলবাবু জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি। ২ জুলাই ভোট হবে ধরে নিয়েই প্রচার কর্মসূচি এগোচ্ছিলেন। ইতিমধ্যে মিছিল করে বিস্তীর্ণ এলাকা চষে ফেলেছেন। ভোট ক’দিন পিছিয়ে যাওয়ায় নতুন করে প্রচার কর্মসূচি ঠিক করছেন। রবিবার বিকেলে বালিচকে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে এক সভা করেন তিনি। সভায় ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়, ব্লক সভাপতি রতন দে প্রমুখ। নির্মলবাবু বলছিলেন, “২ তারিখ ভোট হবে ধরে নিয়ে প্রচার এগোচ্ছিলাম। তা পিছিয়ে ১১ তারিখ হয়েছে। ফলে, আরও কিছু দিন প্রচারের জন্য সময় পাচ্ছি। এই সময়ের মধ্যে একটি মহামিছিল করার পরিকল্পনা রয়েছে। সভায় তা নিয়েই আলোচনা করেছি।” বৃষ্টির মধ্যে প্রচারে অসুবিধা হচ্ছে না? জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতির জবাব, “হচ্ছে। তবে, কিছু করার নেই। কর্মী-সমর্থকেরা সব পরিস্থিতি মানিয়ে নিচ্ছেন। আর কিছু দিন বাদেই নির্বাচন। প্রচার তো থেমে থাকতে পারে না।” রবিবার সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। দুপুরের দিকে রোদ ওঠে সামান্য কিছুক্ষণের জন্য। এ দিন সবংয়ে প্রচার করেন এলাকার বিধায়ক তথা প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মানস ভুঁইয়া। চাঁদকুঁড়ি এলাকায় মিছিল হয়। তার আগে কর্মিসভা। ছুটির দিনে চুটিয়ে প্রচার করেছেন কংগ্রেস প্রার্থী বিকাশ ভুঁইয়া। তিনি জেলা পরিষদ আসনের প্রার্থী। এ দিন পিংলাও ছিল প্রচারে সরগরম। জেলা পরিষদ আসনে তৃণমূল প্রার্থী অজিত মাইতি সকালে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে সভা করেন। তারপর মিছিল। অজিতবাবুর কথায়, “মানুষের কাছে গিয়ে দলের কথাই বলছি। রাজ্য সরকার এই দু’বছরে কী কী উন্নয়ন করেছে, তা তুলে ধরছি।” বৃষ্টিতে প্রচার করতে সমস্যা হচ্ছে না? অজিতবাবু বলেন, “বর্ষাকালে নির্বাচন হলে কিছু সমস্যা তো হবেই। আগে কখনও এই সময়ে নির্বাচন হয়নি। টানা বৃষ্টি হলে সমস্যা হচ্ছে। তার মধ্যেই প্রচার এগোচ্ছে।” তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ জেলা পরিষদের সিপিএম সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য এ দিন তিনি বাড়ি বাড়ি প্রচারে বেরোন। অন্তরাদেবীর বক্তব্য, “বর্ষাকালে বৃষ্টি হবে না? কিছু সমস্যা হচ্ছে। কর্মী-সমর্থকেরা মানিয়ে নিচ্ছেন।” মানিয়ে নেওয়া ছাড়া আর উপায়ই বা কী। হাতে যে মাত্র আর একটা শনি-রবিবার। |
|
|
|
|
|