|
|
|
|
বর্ষায় ভাঙাচোরা রাস্তা সারাইয়ের দাবি আরামবাগে
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
আরামবাগ থেকে শ্রীমন্তপুর যাওয়ার রাস্তার অবস্থা দীর্ঘ দিন ধরেই জায়গায় জায়গায় খারাপ। বর্ষার জলে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে। রাস্তা সারানোর দাবিতে শুক্রবার গাড়ি বন্ধ করে দেন বাস মালিকেরা। বাস মালিক সংগঠনের সম্পাদক অনন্ত ভট্টাচার্যের অভিযোগ, প্রায় ২১ কিলোমিটার রাস্তাটির অধিকাংশ জায়গাই খারাপ। ডোঙ্গলমোড় থেকে ডোঙ্গলবাঁধ পর্যন্ত তিন কিলোমিটার জুড়ে প্রায় ৪-৫ ফুট করে গর্ত তৈরি হয়েছে। ওই সব রাস্তায় বাস চালাতে গিয়ে গাড়ির অবস্থা সঙ্গীন হচ্ছে। ছোটখাট দুর্ঘটনাতেও পড়তে হচ্ছে। মেরামতির দাবিতে আমরা এর আগে বহু বার পূর্ত দফতর ও মহকুমা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু তাঁরা এত দিন গুরুত্ব দেননি।” রাস্তা সারাই না হওয়ায় বাস বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা। |
|
আরামবাগ-বালিদেওয়ানগঞ্জ রাস্তারও একই হাল। —নিজস্ব চিত্র। |
যদিও শনিবারই রাস্তা আংশিক ভাবে বোল্ডার ফেলে মেরামত হয় স্থানীয় উদ্যোগে। এই পরিস্থিতিতে আপাতত বাস বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন মালিকেরা। রবিবার ফের বাস চলেছে। তবে টানা বৃষ্টিতে রাস্তা ফের ভাঙাচোরা হয়ে গেলে বাস চালানো কী ভাবে সম্ভব হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাস মালিকেরা। বর্ষা এসে পড়ায় পাকাপাকি কাজ এখনই সম্ভব নয় বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। পূর্ত দফতরের (সড়ক) আধিকারিক সৌম্য চট্টোপাধ্যায় জানান, নির্বাচনবিধি লাগু থাকায় এখন টেন্ডার ডেকে কিছু করা যাবে না। সৌম্যবাবু আরও জানান, আরামবাগ-শ্রীমন্তপুর রাস্তা নিয়ে এর আগে তাঁর দফতরকে কিছু জানানো হয়নি। তবে আরামবাগ-বন্দর রাস্তার বেশ কিছু জায়গা মেরামতির দাবি আছে। সেই সব কাজের এস্টিমেট করে জেলায় পাঠানো হয়েছে। সে ক্ষেত্রেও অবশ্য নির্বাচনবিধি লাগু থাকায় সাড়া মেলেনি।
আরামবাগ থেকে শ্রীমন্তপুর রাস্তাটি বসন্তবাটি, ডোঙ্গল, রাংতাখালি, গুজরাত-সহ আরামবাগ ও খানাকুলের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও, পশ্চিম মেদিনীপুর একাংশের মানুষও এই রাস্তা ব্যবহার করেন। আরামবাগের বড়ডোঙ্গল গ্রামের বাসিন্দা শ্যামল মিশ্র জানান, এলাকার প্রায় কুড়িটি গ্রামের মানুষ ওই রাস্তা মেরামতির দাবিতে মহকুমাশাসকের কাছে গণস্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি দেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। |
|
|
|
|
|