|
|
|
|
টুকরো খবর |
নির্দল প্রার্থীর সমর্থকদের উপরে হামলার অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রচারে বেরনোর তোড়জোড় চলছিল নির্দল প্রার্থীদের নিয়ে। সে সময়ে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যাকে কেন্দ্র করে দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেরও অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূলের একটি বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীই টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন।
শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের মলয়পুর ২ পঞ্চায়েতে। ইট-পাটকেলের আঘাতে ৫ জন নির্দল সমর্থক আহত হয়েছেন। তাঁদের স্থানীয় ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান আরামবাগ বিডিও প্রণব সাঙ্গুই। নির্দল প্রার্থীদের পক্ষে থানায় অভিযোগও করা হয়। পুলিশ জানায় ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত সকাল ১০টা নাগাদ। মলয়পুর ২ পঞ্চায়েত এলাকার পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির মোট ১১ জন প্রার্থীর সমর্থনে মিছিলের জন্য কেশবপুর গ্রামের পাঁচ যুবক রামপ্রসাদ ঘোড়ুই, ভাস্কর পোড়েল, চঞ্চল ঘোড়ুই, রবি সাঁতরা ও দেবকুমার ঘোড়ুই একটি গাড়ি ভাড়া করে আসনপুর বাজারে মাইক আনতে যান। অভিযোগ, গাড়িতে মাইক বাঁধার সময়ে তৃণমূল সমর্থকেরা তাঁদের উপরে ইট-পাটকেল ছোড়ে। নির্দল প্রার্থীদের পক্ষে প্রবীর মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে ওই দলে আছি। সিপিএমের সন্ত্রাস সামলে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছি। কিন্তু নির্বাচনে প্রার্থী করা নিয়ে আমার পছন্দের কোনও গুরুত্বই দেওয়া হয়নি। তাই নির্দল হিসাবে প্রার্থী দিয়েছি। আর যাঁদের প্রার্থী করা হয়েছে, তাঁরা অধিকাংশই সিপিএম থেকে আসা। মিছিলের জন্য বৈধ অনুমতি নেওয়াও হয়েছিল। নকল তৃণমূলের লোকজন হেরে যাবে বলেই সন্ত্রাস চালাচ্ছে।” অন্য দিকে, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মৃণালকান্তি ঘোষ বলেন, “ওই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। ওরা মাইক ব্যবসায়ীর আপত্তি সত্ত্বেও জোর-জবরদস্তি মাইক আনছিল। তাই স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বাধা দিয়েছেন।”
|
প্রচার |
পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল স্কুল। পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বদলে গিয়েছে ভোটের দিন। তাই, রিকশায় ঘুরে এলাকায় মাইকে প্রচার করে ছাত্রদের জানানো হল, আজ সোমবার থেকে ফের খুলতে চলেছে স্কুল। শুরু হবে পঠনপাঠন। অভিনব এই প্রচার উলুবেড়িয়া বাণীবন যদুরবেড়িয়া বিদ্যাপীঠের। রবিবার ছবিটি তুলেছেন সুব্রত জানা। |
|
|
|
|
|