গৃহবধূকে নিগ্রহের ঘটনায় গ্রেফতার তিন
নিজস্ব সংবাদদাতা |
অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে অপহরণ করে মারধরের অভিযোগে শ্বশুরবাড়ির তিন সদস্যকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত কড়েয়া ও মেদিনীপুরে তল্লাশি চালিয়ে ওই তিন জনকে ধরেন প্রগতি ময়দান থানার অফিসাররা। ধৃতদের নাম সোমেন্দ্রনাথ মাইতি, শুভেন্দু মাইতি ও মিঠুন মাইতি। সোমেন্দ্রনাথ ওই গৃহবধূর শ্বশুর, শুভেন্দু খুড়শ্বশুর ও মিঠুন ওই মহিলার দেওর বলে পুলিশ জানিয়েছে। ধৃতদের রবিবার আদালতে তোলা হলে ৪ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজত হয়। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে বাসন্তী হাইওয়ের ধারে আড়িপোতা থেকে অচৈতন্য অবস্থায় বাসন্তী মাইতি (৩২) নামে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়। মহিলা পুলিশকে জানান, তিনি কড়েয়া থেকে কাজ সেরে ফিরছিলেন। ওই সময় তাঁর শাশুড়ি তাঁকে টেলিফোন করে সায়েন্স সিটির কাছে যেতে বলেন। মহিলার অভিযোগ, তাঁকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় আড়িপোতায়। সেখানে তাঁকে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য চাপ দেওয়া হয়। তিনি মানতে না চাইলে তাঁকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটাতে থাকেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে সেখানেই তাঁকে ফেলে রেখে চম্পট দেন অভিযুক্তরা। তদন্তকারীরা জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক ছিল।
পুরনো খবর: পথে সংজ্ঞাহীন অন্তঃসত্ত্বা, উদ্ধার করল পুলিশ
|
লেক গার্ডেন্স উড়ালপুল ও প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের মোড়ে গাড়ির ধাক্কায় আহত লক্ষ্মী কর্মকারের (৩০) মৃত্যু হল শনিবার রাতে। তাঁর ন’বছরের মেয়ে মহুয়া এখনও গুরুতর আহত অবস্থায় পিজি-তে চিকিত্সাধীন। চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন, তার মাথায় গুরুতর চোট রয়েছে। শনিবার স্কুলে যাওয়ার সময়ে রাস্তা পার হতে গিয়ে একটি গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর জখম হয় টালিগঞ্জ গার্লস হাইস্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী মহুয়া ও তার মা লক্ষ্মীদেবী। পুলিশের গাড়িতেই তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় এম আর বাঙুর হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিত্সার পরেও তাঁরা অচৈতন্য থাকায় তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএমে। শনিবার রাতে সেখানেই মারা যান লক্ষ্মীদেবী।
পুরনো খবর: গাড়ির ধাক্কায় জখম ‘অসতর্ক’ মা-মেয়ে
|
লুটেরারা চেনাই, বলছে পুলিশ |
শেক্সপিয়র সরণিতে লুঠের ঘটনার পিছনে রয়েছে পরিচিতরাই। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই মনে করছে পুলিশ। তবে এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। শনিবার শেক্সপিয়র সরণির একটি বাড়ির দোতলার ফ্ল্যাটে ঢুকে কয়েক লক্ষ টাকার সোনার গয়না লুঠ করে পালায় দুই দুষ্কৃতী। সেই সময়ে বাড়িতে একাই ছিলেন গৃহকর্ত্রী রুবিনা মনসুর। তাঁর স্বামী সোনার দোকানের কর্মী মনসুর সফি এবং মেয়ে কেউই সেই সময়ে বাড়িতে ছিলেন না। অভিযোগ, গৃহকর্ত্রী রুবিনাকে ছুরি দেখিয়ে ঘরের একটি নির্দিষ্ট আলমারি খুলে গয়নার বাক্স হাতায় তারা। পুলিশ জানায়, একটি আলমারি খুলে গয়না হাতালেও অন্য আলমারিটিতে হাত দেয়নি দুষ্কৃতীরা। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, দুষ্কৃতীরা জানল কী করে কোন আলমারিতে সোনার গয়না রাখা। মুখ-ঢাকা দুষ্কৃতীরা বাংলা-হিন্দিতে কথা বলছিল বলে রুবিনা পুলিশকে জানান। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতীরা জানত রুবিনা একা আছেন। লালবাজারের গোয়েন্দারা মনে করছেন, দু’জন দুষ্কৃতী বাড়িতে ঢুকলেও বাইরে আরও কয়েক জন ছিল।
|
যুবককে পুড়িয়ে মারার ‘চেষ্টা’ |
এক যুবককে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল তাঁর শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে, নাদিয়াল থানার সাতঘরা বাই লেনে। অগ্নিদগ্ধ রাজিবুল মোল্লা এম আর বাঙুরে ভর্তি। তাঁর শ্বশুর, শাশুড়ি-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন রাজিবুলের বাবা। রাজিবুলের শ্বশুর নজরুল ইসলাম মল্লিক গ্রেফতার হয়েছেন। পুলিশ জানায়, ফেব্রুয়ারিতে এক নাবালিকাকে বিয়ে করেন পেশায় দর্জি রাজিবুল। পুলিশের দাবি, মেয়েটির পরিজনেরা রাজিবুলের বিরুদ্ধে নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। রাজিবুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ মেয়েটিকে বাড়িতে ফিরিয়ে দেয়। কিছু দিন আগেই জামিনে ছাড়া পান রাজিবুল। রাজিবুলের অভিযোগ, তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগাতে চেষ্টা করেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। আরও অভিযোগ, তাঁকে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ জানায়, ওই যুবকের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। |