এক রাতে পরপর তিন জায়গায় চুরির ঘটনা ঘটল বরাহনগর থানা এলাকার সিঁথির কালীচরণ ঘোষ রোডে। এর মধ্যে দু’টি দোকান ও একটি বাড়িতে চুরি হয়েছে। একই এলাকা থেকে তিনটি চুরির ঘটনায় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে রাতে কমিশনারেটের টহলদারি জিপ কোথায় ছিল?
পুলিশ জানায়, কালীচরণ ঘোষ রোডের একটি ওষুধের ডিস্ট্রিবিউটারের অফিসের তালা ভেঙে লকার থেকে ২৪ লক্ষ টাকা নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। দোকানের কর্মীদের অভিযোগ, চুরি গিয়েছে বেশ কিছু ইঞ্জেকশনের মূল্যবান ওষুধও। ওষুধগুলি মূলত কেমোথেরাপির জন্য ব্যবহার করা হয়। এ দিন দোকানের কর্মীরা এসে দেখেন, তালা ভাঙা। ওই রাস্তাতেই শনিবার রাতে একটি মোবাইল সংস্থার দোকান থেকে ১৪ হাজার টাকা চুরি গিয়েছে। রবিবার কর্মীরা এসে দেখেন, ক্যাশবাক্সে রাখা ১৪ হাজার টাকা উধাও।
অন্য দিকে, ওই এলাকায় অমিতাভ ভট্টাচার্য নামে এক বাসিন্দার বাড়িতে ঢুকে চোরেরা কয়েক ভরি সোনার গয়না হাতিয়ে পালায় বলে অভিযোগ। অমিতাভাবু অবশ্য তখন ছিলেন না। তিনি জানান, মাঝেমধ্যে তিনি ওই বাড়িতে এসে থাকেন। এ দিকে পরপর তিনটি চুরির ঘটনায় এলাকার বাসিন্দারা পুলিশি টহলদারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, “বরাহনগর থানা এলাকার বেশিরভাগ রাস্তাতেই রোজ রাতে টহলদারি চলে। শনিবারও চলেছিল। তবে ওই রাতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থাকার সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে বলে মনে হয়। অনুমান, একটি বড় দল কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে তিনটি জায়গায় চুরি করেছে।”
এ ছাড়া, বাগুইআটির প্রফুল্লকাননে এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ বেরিয়েছিলেন। ন’টা নাগাদ ফিরে দেখেন, তালা ভাঙা। আলমারি থেকে কয়েক ভরি গয়না উধাও। ওই ব্যক্তি জানান, এক অনুষ্ঠানের জন্য ওই গয়না তিনি এনে রেখেছিলেন। |